




বর্তমান সময়ে আফগানিস্তান চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আফগানিস্তানের অবস্থা ভালো নয়। সেখানকার মানুষেরা নিজেদের দেশ থেকেই পালাতে চাইছে। তাদের দেশের রাষ্ট্রপতিও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষ অন্যান্য দেশের থেকে সাহায্য চাইছে। এহেন আফগানিস্তানের সাথে একসময় ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এমনকি হিন্দি সিনেমার প্রতি তাদের ভালোবাসাও চোখে পড়ার মতো ছিল।





আফগানিস্তানে বহু হিন্দি ফিল্মের শুটিং হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল অমিতাভ বচ্চন ও শ্রীদেবী অভিনীত “খুদা গবাহ”। এই ফিল্মটি 1992 সালে মুক্তি পায়। এই ফিল্মটির নির্দেশক ছিলেন মুকুল এস. আনন্দ। এই ফিল্মে অমিতাভ বচ্চন একজন পাঠানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অপর দিকে শ্রীদেবী অমিতাভ বচ্চনের প্রেমিকা ও স্ত্রী এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ফিল্মে শ্রীদেবীর ডবল রোল ছিল।





আপনাদের জানিয়ে রাখি “খুদা গবাহ” ফিল্মটি আফগানিস্তানের মজার-এ-শরীফ এলাকায় শুট হয়েছিল। একটি ইন্টারভিউতে অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন আফগানিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তার সুরক্ষার জন্য অর্ধেক এয়ার ফোর্স মোতায়েন করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের সবথেকে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা “খুদা গবাহ”। আফগানিস্তানে শুটিং যাওয়ার কারণে অমিতাভ বচ্চনের মা তেজী বচ্চনের অমিতাভ বচ্চন ও শ্রীদেবীর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছিল।





সেই সময় ভারতের রাজদূত ছিলেন শাইদা মোহাম্মদ আব্দালি। তিনি জানান আফগানিস্তানে অমিতাভ বচ্চনের খুব সম্মান করা হয়েছিল এবং তার খেয়াল রাখাও হয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন আফগানিস্তানে যাওয়ায় নজীবুল্লাহর মেয়ে তাকে একদিনের জন্য লড়াই থামানোর কথা বলেছিলেন। নজীবুল্লাহ তখন মুজাহিদিন কে লড়াই থামানোর কথা বলেন, যাতে অমিতাভ বচ্চন শান্তিতে আফগানিস্তানে ঘুরতে পারেন এবং শুটিং করতে পারেন। জানিয়ে রাখি আফগানিস্তানে প্রথমবার হিন্দি ফিল্মের শুটিং হয়েছিল 1975 সালে। ফিল্মটি ছিল “ধর্মাত্মা”। এই ফিল্মের অভিনেতা ও ডাইরেক্টর ছিলেন ফিরোজ খান।




