




ভারতে আজও ট্রান্সজেন্ডারদের সেই সম্মান দেওয়া হয় না যার যোগ্য তারা। আজও তাদেরকে হেয় করা হয়। আজ আমরা এমনই এক ট্রান্সজেন্ডারের কথা আপনাদের বলব। যার নাম যোয়া থমাস লোবো। তিনী নিজের দক্ষতার দ্বারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে ট্রান্সজেন্ডাররাও অন্যান্য মানুষদের মতোই জীবনের সফলতা পেতে পারেন। যোয়া থমাস লোবো মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। তার মতে তিনিই দেশের সর্বপ্রথম ট্রান্সজেন্ডার ফটোজার্নালিস্ট।
তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল না হওয়ায় মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পেরেছিলেন তিনি। 11 বছর বয়সে যোয়া অনুভব করেন যে তিনি বাকি ছেলেদের মতন নন। যোয়া জানান 18 বছর বয়সে এক গুরুজীর সাথে তার আলাপ হয়। সেই গুরুজি তাকে জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য অনেক সাহায্য করেছেন। যোয়া আরও বলেন দেশে তাদের কাজের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে লোকাল ট্রেনে ভিক্ষা করতে হয়।





যোয়ার ছোট থেকেই ছবি তোলার শখ। তিনি লোকাল ট্রেনে ভিক্ষা করে যে টাকা রোজগার করতেন তার বেশির ভাগটাই জমিয়ে রাখতেন ক্যামেরা কেনার জন্য। বেশ কিছু টাকা জমার পর সবার প্রথমে তিনি একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরা কিনে নেন ছবি তোলার জন্য। কিন্তু সব টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর যোয়ার খরচ চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। এই সময় একটি শর্ট ফিল্মে ট্রান্সজেন্ডারের রোলে অভিনয় করার জন্য তাকে ডাকা হয়।





সেখানে এক নিউজ রিপোর্টারের সাথে তার প্রথম আলাপ হয়। তিনি তাকে একটি কাজের অফার দেন। যখন এই কাজ তিনি করা শুরু করেন এই কাজ সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না তার। কিন্তু তার এই কাজে সফলতা তখন আসে যখন কো’রো’না ম’হা’মা’রী’র জন্য মুম্বাইয়ের পরিযায়ী শ্রমিকেরা পায়ে হেঁটে নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা শুরু করেন। সেই সমস্ত ছবি যোয়া বিভিন্ন নিউজপেপারে পাঠাতে থাকেন। এরপর ধীরে ধীরে তার নামডাক হতে থাকে ফটোজার্নালিজম এর ক্ষেত্রে। আজ আর যোয়াকে লোকাল ট্রেনে ভিক্ষা করতে হয় না।




