




প্রতিটি মানুষ ভালো জীবন যাপন করতে চায়, সুখে থাকতে চায়। এই কারণে কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎই কারোর ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আর এক লহমায় সেই ব্যক্তি ধনবান হয়ে গেছে। সম্প্রতি কেরলের এর্ণাকুলম জেলার একটি খবর সামনে এসেছে। এক 58 বছর বয়সী অটোচালককে রাজ্য সরকার দ্বারা স্থাপিত থিরুবানম লটারির বিজেতা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই অটোচালকের নাম জয়পালন পীআর।





তিনি 12 কোটি টাকার লটারি জিতেছেন। জানা যাচ্ছে কোম্পানির কমিশন বাদ দিয়ে তিনি 7.4 কোটি টাকা পাবেন। এই অটোচালকের বাড়িতে 95 বছর বয়সী বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তান আছে। মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় জানান, মিনাক্ষী লাকী সেন্টার থেকে 300 টাকা দিয়ে লটারিটি কিনেছিলেন। তিনি আরও বলেন এর আগেও তিনি 5000 টাকার পুরস্কার জিতেছিলেন লটারি কেটে। এই লটারির ব্যাপারে কেবল তার ছেলেই জানত।





তিরুবন্তপূরম এ যখন এই লটারির ড্র হয় তখন তিনি জানতে পারেন এই লটারির বিজেতা হয়ত তিনি নিজে। পরের দিন খবরের কাগজে তার লটারির নং মিলে যাওয়ায় তিনি ব্যাঙ্কে নিয়ে যান সেই লটারিটি। ব্যাঙ্ক থেকে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এতটাকা দিয়ে তিনি কী করবেন? তার উত্তরে জয়পালন জানান তার কিছু ঋণ আছে যা তিনি শোধ করবেন। কোর্টে কিছু কেস চলছে যার তিনি নিষ্পত্তি করাবেন। নিজের বোনেদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার ইচ্ছেও তার আছে বলে জানান।





আর নিজের সন্তানের শিক্ষার জন্য বাকি টাকা রেখে দেবেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি কেরলের বায়নাড জেলার একটি হোটেলের রাঁধুনি সৈয়দ আলাবি প্রথমে জানান তিনি এই লটারি জিতেছেন। এই কারণে বিজেতা আসলে কে তা নিয়ে ভ্রমের সৃষ্টি হয়। তিনি জানান তার এক বন্ধু লটারি কেটে, সেই লটারির ছবি তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায় সৈয়দ আলাবির বন্ধু তাকে প্রতারিত করেছিল। আর আসল বিজয়ী জয়পালন পীআর।




