একই পরিবারের দুই মেয়ে যে অভিনব কৌশলে করলেন একসাথে IAS পাশ, আপনি জানলে অবাক হবেন

ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষা এতটাই কঠিন যে, একটি জেলা থেকে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেও একসাথে দু’জনের পরীক্ষা ক্লিয়ার করা খুব কঠিন। এমতাবস্থায়, একই ঘরের দুই মেয়ে, একই বছরে একই সঙ্গে ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

গতমাসে ইউ.পি.এস.সি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে এবং এইবারে বিহারের শুভঙ্কর ইউ.পি.এস.সি-র শীর্ষে ছিলেন। দিল্লির অঙ্কিতা জৈন, সর্বভারতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।

নিশ্চই, অঙ্কিতার এই বড় সাফল্যে তার পরিবার খুব খুশি হবে, কিন্তু তাদের খুশি হবার কারণ শুধুমাত্র অঙ্কিতা জৈন নয়, বৈশালী জৈনের জন্যও, যিনি সর্বভারতীয় 21 তম স্থান পেয়েছেন। আমরা জানিয়ে রাখি, বৈশালী, অঙ্কিতার ছোট বোন এবং দুই বোনের এই সাফল্যের পরে, দুই মেয়ে একই বাড়ি থেকে, একই সাথে আই.এ.এস অফিসার হয়েছেন।

এই দুই বোনের বিশেষ বিষয় হলো, তারা দুজনেই একই নোট দিয়ে ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। উভয় বোন একে অপরকে অনুপ্রাণিত করত এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিত। উভয়ের স্থানের সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে, তবে উভয়ের পরিশ্রম ছিল সমান।

অঙ্কিতা জৈন এবং বৈশালী জৈনর বাবা সুনীল জৈন, একজন ব্যবসায়ী এবং তাদের মা অনিতা জৈন, একজন গৃহিণী। দুই বোনের সাফল্যে তাদের বাবা-মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর অঙ্কিতা জৈন, দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি

থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করে বি.টেক শেষ করার পর, তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি পেয়েছিলেন, কিন্তু চাকরিতে মনোনিবেশ না করে তিনি ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা সঠিক মনে করেছিলেন এবং সমস্ত মন দিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

অঙ্কিতা 2017 সালের ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করেও প্রথম চেষ্টায় সাফল্য পাননি। শেষে এরপর দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অঙ্কিতা। অঙ্কিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল, কিন্তু সে এত ভালো র‍্যাঙ্ক পেতে পারেননি যে, আই.এ.এস-এর জন্য নির্বাচিত হতে পারেন।

অঙ্কিতা সাফল্য পেয়েছিল কিন্তু তিনি তার আই.এ.এস হওয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হননি। ইউ.পি.এস.সি-তে ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি হাল ছাড়েননি এবং শেষ চেষ্টায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। অঙ্কিতার ছোট বোন বৈশালী জৈন,

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একজন আই.পি.এস অফিসার ছিলেন। দুই বোনই একই সঙ্গে ইউ.পি.এস.সি-র প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন এবং একসাথে ক্লিয়ার করেছে। বড় সাফল্যের পর তারা দুজনেই দেশের মেয়েদের অনুপ্রেরণা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

Related Posts

নীল কমল কোম্পানি শুরু হয়েছিল বোতাম বানানো দিয়ে, আজ 123 কোটির টার্নওভার। ভারতের জনপ্রিয় চেয়ার কোম্পানির এত সাফল্যের আসল কাহিনী বেরিয়ে এলো ।

বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফার্নিচার মার্কেট লঞ্চ হয়েছে। এইসব ফার্নিচারের দাম যেমন বেশি হয় তেমনই এইসব ফার্নিচারের দেখাশোনাও বেশি করতে হয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন নীলকমল…

“পুষ্পা” ফিল্মের রক্ত চন্দন এর দাম জানেন কত? বিলুপ্ত এই চন্দন কীভাবে এল ফিল্মের সেটে? জানলে আপনিও চমকে যাবেন

সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে আল্লু আর্জুনের ফিল্ম “পুষ্পা”। এই ফিল্ম রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়ে তৈরি। আজ আমরা আপনাদের এই রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়েই কথা বলব। রক্ত চন্দন অন্ধ্রপ্রদেশের…

নিজের ধর্ম বদলাবো না, অন্যের ধর্ম বদলাতে দেবো না! এই শর্তে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করলেন এই অবিনাশ! মেয়ে এলো ৮০০০ কিলো মিটার দুর থেকে

“প্রেম” শব্দটা ছোটো হলেও এর গভীরতা অনেক। প্রেমের সম্পর্ককে কোনোদিন ধর্ম, জাতি আটকাতে পারেনি। আপনারা অনেক সিনেমা দেখে থাকতে পারেন এই ধরনের। আজ আমরা বাস্তবের এক ঘটনা…

23 বছরের এই ভাই-বোনের জুটি 1 লাখ টাকা ইনভেস্ট করে যে অভিনব উপায়ে আজ 800 কোটি টাকার ব্যবসা দার করান, জানলে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন

একটি মেয়ে তার ভাইয়ের সাথে মিলে নিজেদের পরিবারকে সফলতার সেই শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন যা বড় বড় ব্যবসায়ীরাও পারেননি। 23 বছর বয়সে সাধারণত সকলে পড়াশোনা শেষ করে…

অমিতাভ বচ্চনের সাথে সম্পর্ক ভালো নয় তার ভাইয়ের, রোজ গারের দিক থেকেও তার ছোট ভাই অনেক এগিয়ে ! বিস্তারিত জানলে আপনিও অবাক হবেন

প্রয়াত কিংবদন্তি কবি হরিবংশ রাই বচ্চনকে কেনা চেনেন? ছোটবেলা থেকেই তাঁর কবিতা স্কুলে পড়ানো হয়। আজও মানুষ তার কবিতাকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। কবি হরিবংশ রাই বচ্চন…

১৯০ কোটি টাকা লটারীতে জিতলেন এই মহিলা! কিন্তু তিনি না জেনে টিকিট সহ জামা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে ফেলে, তারপর যা হলো

লটারি খেলাটিও একটি চমৎকার খেলা। ভাগ্য সহায় থাকলে যে কেউ মাটি থেকে আকাশে, আবার আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যেতে পারে। একজন মহিলার সাথে একই ঘটনা ঘটেছিল, তবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *