




বাঙালির প্রাণের ঠাকুর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। খুশিতে হোক বা দুঃখে সর্বত্রই বাঙালির রবি ঠাকুরকে চাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেইসব অনুভূতিগুলোকে নিজের লেখনীর মধ্যে দিয়ে ভাষায় প্রকাশ করেছেন যা আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত হয়েও নিজেদেরকেই বোঝাতে পারিনা। প্রতিটা অনুভূতি, প্রতিটা মুহূর্ত সবকিছুতেই রবি ঠাকুরের লেখা আছে। কারণ যাই হোক না কেন সর্বক্ষেত্রেই বাঙালির মনে প্রাণে রবি ঠাকুর বিরাজমান।





রবীন্দ্রনাথ সরস্বতী ও লক্ষী উভয়েরই বরপুত্র ছিলেন। তিনি কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় মন বসেনি রবীন্দ্রনাথের। বরাবরই তিনি মুক্তমনা। তাই বিদ্যালয়ের গতানুগতিক পরিবেশ তাঁর ভাল লাগেনি। মূলত এই কারণেই বাড়িতে শিক্ষক রেখে শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। মাত্র আট বছর বয়সেই লেখা শুরু করেন তিনি। ১৮৭৪ সালে “তত্ত্ববোধিনী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা “অভিলাষ” কবিতাটি।





এটিই তাঁর প্রকাশিত প্রথম রচনা। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা ছোট থেকেই পছন্দ ছিল না রবি ঠাকুরের। তাই প্রকৃতির মুক্ত প্রাঙ্গণে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করেন ব্রহ্মচর্যাশ্রম। পরে অবশ্য তিনি সেখানেই পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ হয়। ১৯২৩ সালে পাকাপাকিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বভারতী। রবীন্দ্রনাথ সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রভৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।





সঙ্গীত ও নৃত্য কে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্র সংগীত তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। রবি ঠাকুরের গানে বারবার ধরা পড়েছে প্রকৃতির কথা। তাঁর রচিত এমনই একটি গান হল “নীল দিগন্তে”। এই গানটির সাথে নতুন সংযোজন নির্মিত আধুনিক গান ব্যবহার করা হয়েছিল “গোত্র” সিনেমায়। এবার এই গানটিতে নৃত্য পরিবেশন করলেন এক তরুণী। তাঁর এই নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন এবং শেয়ারও করেছেন।।




