নিজের মা’দকের বিরু’দ্ধে জোরে চলছে এই মহিলা পু’লিশ কর্মী। নাম তার থুওনাওজাম বৃন্দা। মনিপুরের এই মহিলা পু’লিশ এখনো পর্যন্ত মা’দক জাতীয় দ্রব্য সেবন ও ব্যবহারের বিরু’দ্ধে মর’ণপণ ল’ড়াই করে চলেছেন। জীবনের সবচেয়ে কঠিন যু’দ্ধে ব্রতী হয়েছেন তিনি। প্রা’ণ সংশয় থাকলেও যু’দ্ধক্ষেত্র থেকে পিছপা হলেন না এই মহিলা পু’লিশ অফিসার। তাকে সুপারওম্যান বলা যায়।
সংবাদসূত্র অনুযায়ী খবর, বৃন্দা হাইকোর্টে একটি হলফনামা দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি অভিযো’গ করেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং তাকে হেফাজতে থাকা মা’দক মালিককে ছাড়তে কার্যত চা’প দিয়েছিলেন। বহু চেষ্টার পরেও বে’আইনি মা’দক পা’চারের বিরু’দ্ধে সরব হলেও তাকে রাজ্য সরকার সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। বরং তার এই মহান উদ্যোগে বা’ধা দিয়েছিল। তিনি বলেছেন, ”
মণিপুরে মা’দক ব্যবসা, চোরাচালান ও উৎপাদনের কাজ শ’ক্তিশালী রাজনীতিবিদ, জ’ঙ্গি, মা’দক মালিক, শীর্ষ পু’লিশ কর্মকর্তা এবং আমলাদের সমন্বিত শ’ক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় যারা পু’লিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে অপরা’ধগু’লি আ’ড়াল করতে এবং শা’স্তি থেকে রেহাই পেতে চালিত করে”।
তিনি নিজেই চার সন্তানের জননী।নিজের রাজ্যকে মা’দক থেকে মু’ক্ত করতে চান তিনি।মা’দকবি’রোধী ড্রা’গস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সস আই’নের বিশেষ বি’চারকের কাছে আঙ্গুল তো’লার অভিযো’গে ফৌ’জদারি অভিযো’গের মুখো’মুখি হয়েছেন এই মহিলা পুলিশ অফিসার।এই অভিযো’গ তিনি অস্বীকার করেছেন। ফেসবুক এনডি অ্যান্ড পিপিএস আদালতের মাধ্যমে মা’দক পা’চারের প্রধান মাথা লুখোসেই জৌকে তিন সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন বলে, বিচার বিভাগকে খা’রাপ বলেছিলেন বৃন্দা। বর্তমানে সীমা’ন্তের মা’দক ও বিষয়ক অতিরিক্ত এসপি হিসেবে কর্মরত।
নিজের দলবল কে সঙ্গে নিয়ে এই মহিলা পু’লিশ অফিসার ২০১৮ সালের জুন মাসে জৌকে পা’করাও করেন। একই সঙ্গে ৪.৫৯৯ কেজি হেরোইন, ২,৮০,২০০ “ওয়ার্ল্ড ইস ইওরস” ট্যাবলেট এবং ৫৭.১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেন ওই মা’দক ব্যবসায়ীদের থেকে। স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে চান্দেল এলে জৌ ফিরে আসেন। বৃন্দা জানিয়েছেন,তিনি কেবল কোনও কারণ ছাড়াই স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য কাজ করে গেছেন।
মণিপুরের আরও ভাল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে চলেছেন। এই পথ বড়ই কঠিন হলেও তিনি হল ছাড়েননি। বিশেষত একটি দেশে গ্রামাঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে এই মহিলা পু’লিশ অফিসার একজন অনুপ্রেরণা।