সনু সুদ, নামটা হয়তো গত বছরেও অনেকের কাছে ছিল অজানা। কিন্তু এই বছরে তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সকলের কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন। লক ডাউন এর কিছুদিন পরে থেকেই নিজের উদ্যোগে বহু পরিশ্রমী কে তিনি বাড়ি পৌঁছতে সাহায্য করেছেন।বহু পরিযায়ী শ্রমিককে তিনি দুবেলা পেটপুরে খেতে দিয়েছেন। তার এই কর্মের জন্যই হয়তো তিনি এখনো পর্যন্ত সুস্থ আছেন। বহু মানুষ টুইট করে গ্রামে গিয়ে চিঠি লিখে তাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অভিনেতা নিলেন আর এক অভিনব প্রক্রিয়া।বিভিন্ন শহরে আটকে থাকা বিপর্যস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে বাসে ঘরে ফেরার পর এবারে তিনি প্রবাসী অনলাইনের সূচনা করলেন। এই প্ল্যাটফর্মের দ্বারা কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং যাবতীয় তথ্য জানা যাবে।সারাদেশে বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিক এবং কর্মচারীরা জাতি তাদের নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কাজের সন্ধান পান, এই কারণেই এই অ্যাপটি চালু করলেন তিনি।
অভিনেতা জানিয়েছেন,পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে গিয়ে তিনি বারবার তাদের কাছ থেকে শুনেছেন, এই দুঃসময়ে তারা উপযুক্ত কাজ খুঁজছেন। কাজ না করলে অদূর ভবিষ্যতে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।এই মানুষদের ই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য অনেক ভাবনা-চিন্তা পরিকল্পনা প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি, এই পরিকল্পনা যাতে সুনিশ্চিত হয় এবং যাতে সততার সাথে তিনি এগোতে পারেন এই ব্যাপারেও তিনি নজর রেখেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অতি নিম্ন বিত্ত মানুষদের বিশেষত যুবকদের কর্ম দক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মক্ষেত্রে ঢুকানোর ক্ষেত্রে তৃণমূল স্তরে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এনজিও, সমাজসেবী সংগঠন সরকারি কর্মকর্তা কৌশল নির্মাতা বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিগত এবং সর্বোপরি যে সমস্ত শ্রমিকদের আমি ঘরে ফেরাতে সাহায্য করেছি তাদের প্রত্যেকের সাথে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক কাজের সুযোগ খুজে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক গ্রামের কমিউনিটি সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেছি আমি। এ গ্রামের কমিউনিটি সংগঠনগুলি আমারই উদ্বেগকে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন”।
এটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,এই অ্যাপটিতে নির্মাণ বস্ত্র স্বাস্থ্যপরিসেবা ইঞ্জিনিয়ারিং, বিপিও, সিকিউরিটি, অটোমোবাইলস, ই কমার্স, লজিস্টিক সেক্টরের প্রায় ৫০০র বেশি কোম্পানির খবরা-খবর থাকবে,এবং এছাড়া যাদের কাছে কাজের খবর আছে তারা এখানে জানাবেন।এছাড়া প্রবাসী রোজগারে স্পোকিং ইংলিশ সমেত অন্যান্য বিভিন্ন জব ট্রেনিং কর্মসূচিও চালানো হবে এর মাধ্যমে। এই ব্যাপারে নয়া দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোয়েম্বাটুর, আমেদাবাদ ও আরো অন্যান্য রাজ্যে হেলপ্লাইন বসানো হয়েছে। যা দিনে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে সাত দিন অনবরত কাজ করবে।