গবেষণায় দেখা গেছে অল্পবয়সী দম্পতিরাই বিয়ের পর বেশি পরিমাণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

বিয়ে করার মনোভাব সাধারণত দুই রকমের হয়। এক হয় সদর্থক, অর্থাৎ কেউ বিয়ে করতে চান।আর এক হয় নঙর্থক অর্থাৎ কেউ বিয়ে করতে চান না। হ্যাঁ তবে বিয়ে পাগল মানুষের অভাব যে পৃথিবীতে নেই তা আর নতুন করে প্রমাণ করতে হবে না। বিশেষ করে ভারতবর্ষে কম বয়সে বিয়ের রীতি সেই প্রাচীন যুগ থেকে প্রচলিত। ভারতীয়দের বিশ্বাস, বিয়ের জন্য কম বয়স ছাড়া উপযুক্ত কিছুই নয়। এখনো পর্যন্ত অনেক পরিবার এমন রয়েছে যারা সেই পুরনো যুগের রীতি মেনেই বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন খুব কম বয়সে।

একটি নতুন গবেষণায় জানা গেছে যে সাধারণত ২১ বছর বয়সের মধ্যে যারা বিবাহ করেন, তাদের অ্যালকোহল পান করতে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাইকোলজির গবেষক রেবেকা স্মিথ জিনগতভাবে মদ্যপানের একধরণের বিকাশের ঝুঁকিপূর্ণ ৯৩৭ জনের বৈবাহিক অবস্থা এবং অ্যালকোহলের অভ্যাসের দিকে নজর রেখেছিলেন। তাদের মদ্যপানের আসক্তি সাধারণত জিনগত ছিল।

সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, যারা কম বয়সে বিবাহ করে তাদের মধ্যে মাদকাসক্তি থাকার প্রবণতা বেশি। নির্ধারিত বয়সের বিবাহ করে এমন মানুষদের সে দিক থেকে মাদকাসক্তি অনেক কম।রেবেকা নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন,”তরুণ বয়স্কদের একটি নমুনায় আমরা দেখতে পেয়েছি যে,বিবাহ অ্যালকোহলের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একরকম প্রতিরক্ষামূলক ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, আমরা দেখেছি যে বাল্য বিবাহ (যেমন ২১বছর বয়সে) উচ্চ জেনেটিক প্রবণতাযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যালকোহল ব্যবহারের ঝুঁ’কি বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, যৌ’বনের পরে বিবাহের জন্য যে জেনেটিক প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছিল তা কমাতে শৈশব বিবাহের মতো একই প্রতিরক্ষামূলক সুবিধা হয় না। ”

রেবেকার মতে, অল্প বয়সে বিয়ে করা এবং মদ্যপানের মধ্যকার যে সমস্যা প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করা ব্যক্তিরা সেসবের সম্মুখীন হন না। কম বয়সে বিবাহকারী ব্যক্তিরা নিজেদের সম্পর্কের প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যে সম্পর্ক নিয়ে অবিরত তুলনা করেন। যার কারণে আরো বেশি অশান্তির সৃষ্টি হয়। স্মিথ বলেছেন, ম’দ্যপানের আ’সক্তি অল্পবয়সি দম্পতিদের মধ্যে বেশি থাকে। কারণ কম বয়সি জীবনসঙ্গী একে অপরের উপরে অনেক সময় সঠিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।

তিনি আরো বলেছেন,”একটু আগের থেকে ভাবলে আমরা বুঝতে পারি, উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে আমরা যা জানি, সে সম্পর্কে আমাদের অনুসন্ধান অনেক বেশি কার্যকরী। বিবাহ এবং পিতৃত্বের মতো ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলি জীবনে ঘটনাক্রমে ঘটে থাকে। সুতরাং এই ধরনের ঘটনাগুলি আমেরিকান সংস্কৃতিতে সাধারণের চেয়ে আগের জীবনে বা পরে ঘটে তখন এগুলি আমাদের প্রত্যাশার মতো সুরক্ষিত নাও হতে পারে। ”

Related Posts

দুধের ব্যবসায় দুধের ঘাটতি দেখেও চাকরি ছেড়ে নিজেই দুধের ব্যবসা শুরু করে আজ যেভাবে তিনি 200 কোটি টাকার বেশি মূল্যের দুধের ব্যবসা দাঁড় করালেন

আমাদের দেশ প্রতিদিন উন্নতি করে চলেছে। এখন আমাদের দেশে এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে, বড়ো বড়ো বিল্ডিং প্রভৃতি আছে। এখন আমাদের দেশের যুবসমাজ সরকারি চাকরি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি ঝোঁক দেখাচ্ছে।…

10 কিমি পায়ে হেঁটে এই IAS অফিসার সবজি কিনতে যান, এমনভাবে জীবনযাত্রা পালন করেন দেখে মনে হবে তিনি একজন সবজি বিক্রেতা

আমাদের দেশে আইএএস ও আইপিএস অফিসারদের সরকার থেকে বেশ ভালোভাবেই দেখাশোনা করা হয়। তাদের সবরকম সুখ-সুবিধার খেয়াল সরকার রাখেন। ফলে সাধারণ মানুষেরা কোনদিন ভাবতেই পারেননি যে কোন…

পড়তে বসে রেগে গিয়ে বাবাকে মেয়ের প্রশ্ন “তুমি মাকে বিয়ে” করলে কেন? মা তোমার থেকে অন্য ভালো বর পেতো, ভিডিও ঝরের গতিতে ভাইরাল

গত দুই মাসের মধ্যে আমরা অনেক কিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পেরেছি। কখনো কেউ ভালো গান গেয়ে, কেউবা ভালো নাচ করে মনোরঞ্জন করেছেন সকলের।…

পা অচল, বয়সের বাধ্যক্য ঘিরে ধরেছে, তবু নৌকা নিয়ে নদী থেকে বজ্র পদার্থ নিকেশ করে পরিবেশের স্বচ্ছতাকে বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর রাজাপ্পন

ভারতবর্ষের খুব কম মানুষই আছেন যারা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের নিজেদের শামিল করে ভারতবর্ষকে পরিষ্কার রাখতে চান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যতই স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করুক না কেন, ভারতবর্ষের…

হাতজোড় করে জল চাইছে তৃষ্ণার্ত কাঠবিড়ালি, ভিডিও দেখলে আপনি আশ্চর্য হবেন ভাইরাল সেই ভিডিও

“কাঠবিড়ালি কাঠবিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও?”না পেয়ারা নয় বরং তৃষ্ণার্ত অবস্থায় হাতজোড় করে জল চাইছে কাঠবিড়ালি। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে যে করোনা আবহ চলছে, তাতে পথঘাটের চাইতে নেট দুনিয়ায়…

মঙ্গলবারে হনুমানজির উদ্দেশ্যে ভক্তিভরে শুধু এইটুকু নিয়ম করুন জীবন পুরোপুরি বদলে যাবে

হিন্দুশাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর কথা উল্লেখ আছে। আর এই প্রত্যেক দেব দেবীর আরাধনার একটি নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। আমাদের সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিনই কোন না কোন দেব দেবীর…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *