ক’রোনা মহা’মারী দিনে দিনে চারিদিকে এতটাই ব্যাপ্ত হয়েছে যে ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত একে রোখা সম্ভব হচ্ছে না। দিকে দিকে স্বজন হা’রানোর কা’ন্নায় ভে’ঙে পড়ছে মানুষ। ক’রোনা আ’ক্রান্ত হলে রোগীকে দেখতে দেওয়া তো দূরের কথা মৃ’তদে’হ সৎ’কার করতে গিয়েও ঝা’মেলা পোহাতে হচ্ছে। স্বজন হীনতায় জানানো হচ্ছে শে’ষ বি’দায়। অনেক হাসপাতলে চিকিৎসা সঠিকভাবে না হওয়ায় মৃ’তের সংখ্যাও বাড়ছে।এর মধ্যে ঘটে গেলো এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। আইসিইউতে ক’রোনা আ’ক্রান্ত মা যতক্ষণ বাঁচ’লেন, ততক্ষণই হাসপাতালের জানালার পাশে মায়ের জন্য বসেছিল ছেলে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনে। ফিলিস্তিনি তরুণের মাতৃভক্তি সারা বিশ্বের মানুষের নজর কেড়েছে। অনেকেই মনে করেন, সন্তানদের মধ্যে এমন মাতৃভক্তি থাকলে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমবে। মায়ের সঙ্গে দেখা করার কোন উপায় ছিল না। কারণ মা ক’রোনা আক্রা’ন্ত। সেই কারণেই মায়ের নজরদারি করতে ছেলে জানালায় উঠে বসে রইলেন। সম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে।
বেইট আওয়া শহরে জিহাদ আল-সুয়েতী নামে একটি ৩০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি তরুণ হেবরন স্টেট হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের জানালায় উঠে নিজের মাকে দেখছিলেন। পাঁচ দিন ধরে তার মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। কারণ মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তার ছেলে জানিয়েছেন, “আমি শান্তভাবে অসহায় হয়ে ইনটেনসিভ কেয়ার রুমের জানালার পিছনে বসে ছিলাম।সেখানে বসেই মায়ের শেষ সময় স্বচক্ষে পরিদর্শন করেছি”। ছবিটি টুইটারে প্যাট্রিয়টিক ভিশনের সিইও এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি মোহামাদ সাফা শেয়ার করেছিলেন।
The son of a Palestinian woman who was infected with COVID-19 climbed up to her hospital room to sit and see his mother every night until she passed away. pic.twitter.com/31wCCNYPbs
— Mohamad Safa (@mhdksafa) July 18, 2020
ছবিটি শেয়ার করার সময় মিঃ সাফা লিখেছিলেন,” একজন ফিলিস্তিনি মহিলার যিনি কোভিড ১৯ এ সংক্রামিত ছিলেন,তার ছেলে নার্সিংহোমের জানালায় উঠে বসে ছিলেন মাকে দেখার জন্য।” তার বড় বোন বলেন, ” ১৫ বছর আগে আমার বাবা মা’রা গিয়েছিল। এরপর থেকে আমার মা লিউকোমিয়া রোগে ভুগছিলেন। যখন আমাদের মায়ের মৃ’ত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল, জিহাদ রাগ করেছিল এবং অস্বীকার করেছিল।” জিহাদের বড় ভাই স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে হাসপাতালের সুরক্ষার কথা জানানো সত্ত্বেও তিনি অনড় থাকেন এবং প্রতিদিন জানালায় বসে থাকতেন।জিহাদ আল সুয়াইতি নামক যুবকের মতনই বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেরই হারানোর কষ্টে ভুগছেন। কাছে যাওয়ার উপায় নেই।সরকারি নির্দেশ সং’ক্রমণের ভ’য় প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে এই ক’রোনাভাইরাস।