ভগবান এবং করোনা, এই দুইজন মানে না কোন জাতপাত ধর্ম। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি প্রত্যেকেই আ’ক্রান্ত হচ্ছে এই মহামা’রীতে। দিনের-পর-দিন উত্তরোত্তর বেড়েই চলছে আক্রা’ন্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃ’তের সংখ্যা। হাসপাতাল নার্সিং হোমে বেড পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। ভারতের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। আ’ক্রান্ত এবং মৃ’তের সংখ্যায় নিরিখে এখনো পর্যন্ত প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে দিনের-পর-দিন ক’রোনা আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে,অদূর ভবিষ্যতে কি পরিনতি হতে চলেছে এটা একমাত্র ঈশ্বর জানেন।
সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চন এবং তার পুরো পরিবার আ’ক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা তে। প্রথমে অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। পরে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং মেয়ে আরাধ্যা ও করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তারা আপাতত অনেকটাই সুস্থ।বচ্চন পরিবারে শুধুমাত্র জয়া বচ্চন ছাড়া সকলেই করোনার কবলে পড়েছিলেন।মহারাষ্ট্রের অনেক নামিদামি আবাসন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহা’মারী দাপটে। যেগুলোর বেশিরভাগ আবাসনে থাকেন বলিউড তারকা।
অমিতাভ বচ্চনের পরেই যে সেলিব্রিটির নাম সবার আগে মাথায় আসে তিনি আর কেউ না শাহরুখ খান।
অমিতাভ বচ্চনের করোনা আক্রান্ত হবার খবর প্রকাশে আসতে আরো সাবধান হয়ে যান বলিউডের কিং খান। মুম্বাইয়ের মান্নাতে তিনি থাকেন তার স্ত্রী এবং ৩ সন্তান কে নিয়ে।
করোনার এর হাত থেকে বাঁ’চতে পুরো আবাসন থেকেই মোটা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিলেন বলিউডের বাদশা।
কয়েক মাস আগেই মন্নতের একটি ফ্লোরকে ক’রোনা চিকিৎসার জন্য বিএমসি-র হাতে তুলে দিয়েছিলেন শাহরুখ ৷ নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আর্থিক সাহায্য করেছেন। এছাড়াও সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন শাহরুখ খান।মুম্বাইতে যখন প্রথম করোনা আ’ক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, তখন কোয়ারিন্টন সেন্টার হিসেবে তিনি তার বাড়ির একতলা ছেড়ে দেন। তিনি ভেবেছিলেন পরিস্থিতি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু উত্তরোত্তর পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে যাওয়ায় নিজেদের বাঁচাতে এই অভিনব পদ্ধতিতে নিজের বাড়ি টিকে প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে দিলেন শাহরুখ খান।