বাঙালির বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় সব ক্ষেত্রেই। বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিরকালই সুনাম বাঙালি জাতির। ব্যবসায়িক মনোভাব থাকার কারণে সবকিছু নিয়েই তারা খুব ভালো ব্যবসা করতে পারে। করোনা যুদ্ধ নিয়ে যখন জেরবার সারা বিশ্ব,তার মধ্যেই এই ক’রোনা কে নিয়েই নতুন ব্যবসা করে অন্নসংস্থানের রাস্তা করে নিয়েছে বাঙালি।প্রতিবছর পুজোয় নতুন কি থিম হবে তাই নিয়ে মেতে থাকেন সকলে। বছরে কখনো ভালো কোন সিনেমা হলে বা দেশে কোন যুদ্ধ হলে তা নিয়েই পুজোর থিম তৈরি করা হয়। এপ্রকার ভেবেই নেওয়া হয় যে, সিনেমার পটচিত্র সকলের সামনে তুলে ধরা হবে দূর্গা পূজার প্যান্ডেলের মাধ্যম দিয়ে।
এবছর সব আনন্দেই ছেদ পড়েছে। করনা গ্রাস আমাদের কোনো আনন্দ উপভোগ করতে দিচ্ছে না। কিন্তু তারই মধ্যে নিয়মমাফিক হয়ে চলেছে সমস্ত পুজো। এই পুজোর আনন্দ অন্য বছরের মতো ফিকে হলেও কুমোরপাড়া রীতিমতো সেজে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট করে হলেও ছাড় দিয়েছেন দুর্গা পুজো করার। তাই সময়মত প্রতিমা দিতে হবে তো।
সমস্ত নিয়মকানুন মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পালন করা হবে বাংলাদেশের উৎসব দুর্গোৎসব। তার আগে নিয়মমাফিক বাঙালির ঘরে আসতে চলেছে গণেশ। গণেশ পূজো মহারাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ পুজো মনে করা হয়।ইতিমধ্যেই ক’রোনা আক্রা’ন্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু তাও ভবিষ্যতের আশায় বুক বেঁধে চলছে অদূর ভবিষ্যতের উৎসবের আয়োজন।
বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হয় মহাদেবের সন্তান গণেশের পুজো। তাই চিরাচরিত কিছু গণেশ মূর্তি কে পিছনে ফেলে নতুনভাবে সেজে উঠেছে কিছু গণেশ মূর্তি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে আমাদের কর্নার হাত থেকে রক্ষা করছেন চিকিৎসক এবং পুলিশ কর্মীরা।তাই এ বছর এই চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যাবে সকলের প্রিয় গণেশ কে, সঙ্গে রয়েছে অবশ্যই তার বাহন ইঁদুর।এই গণেশ এবং ইঁদুরের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের সবথেকে বড় ভিলেন করোনাভাইরাসকে ।
https://www.facebook.com/140763992703039/posts/3038832126229530/
ক’রোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষেত্রে এই থিমটা একেবারেই বেমানান নয়। এ বছরের দুর্গা পুজোয় কলকাতাতেও হয়তো বা তার আশেপাশে জেলাগুলিতে ক’রোনার থিম দেখা গেল যেতে পারে। স্বয়ং গণেশ চিকিৎসকের ভূমিকায় এসে আ’ক্রান্ত রোগীকে কোন ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করছেন, এই থিমটি বছরে তৈরি হয়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে । এমনই বিভিন্ন থিম গড়ে তুলতে দেখা যাচ্ছে কুমোর পাড়ায়। তাই গত বছরের তুলনায় আনন্দ কম হলেও, এই বছর ক’রোনাভাইরাসকে এই ভাবে দেখা যাবে, তা হয়তো ভিলেন নিজেও ভাবতে পারেনি।