




সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছোটখাট জিনিসও ভাইরাল হয়। আজকাল একটি শিশুর পরীক্ষার উত্তর ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে। যাইহোক পরীক্ষায় যেভাবে উত্তর লেখা হয় এখন তা ইন্টারনেটে ভাইরাল কারণ, বাচ্চাটি একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে খুব আকর্ষণীয় ভাবে যা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে পরীক্ষায় শিশুটিকে ‘ভাকরা নাঙ্গাল’ প্রকল্প সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এমন অবস্থায় শুরুতে শিশুটি লিখেছিল যে, বাঁধটি শতদ্রু নদীর ওপর নির্মিত কিন্তু এরপর শিশুটি যা লিখেছিল তা পড়ে আপনি হাসতে বাধ্য হবেন।





ছাত্রটি উত্তর এর মাঝে লিখেছিল সর্দার প্যাটেল থেকে পন্ডিত জহরলাল নেহেরু এবং গোলাপ চাষ, লন্ডন-জার্মানি এবং বিশ্বযুদ্ধের কথা যা বোধগম্যের বাইরে। এই উত্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিশুটি শুরুতে বাঁধের কথা বললেও তারপর মাঝখানে অন্যকিছু লিখেছে আবার শেষ পর্যন্ত সে পাঞ্জাব এবং শতদ্রু নদীর মাধ্যমে তার কথা লেখে এবং এইভাবে তার উত্তরটি সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করে এবং বাচ্চাটির উত্তর দেখে শিক্ষকও তার মাথা ধরে বসে আছে এবং বাচ্চাটিকে দশের মধ্যে 0 নম্বর দিয়ে লিখেছেন ‘শিক্ষক কোমায় আছেন।’





ছেলেটির লেখা উত্তরটি নিম্নলিখিত: ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ শতদ্রু নদীর উপর নির্মিত। পাঞ্জাবের রয়েছে এই নদী। পাঞ্জাব সর্দার প্যাটেলের দেশ। সর্দার প্যাটেল ছিলেন একজন সর্দার। তিনি ভারতের ‘আইরন ম্যান’ হিসেবে পরিচিত। আয়রন ম্যানের লোহা যেটি তৈরি হয় টাটায়। কিন্তু টাটা হাতে করা হয়। তাই আইনের হাত অনেক লম্বা। পন্ডিত জহরলাল নেহেরু আইন জানতেন। শিশুরা তাকে ‘চাচা নেহেরু’ নামে ডাকত। চাচা নেহেরু গোলাপ পছন্দ করতেন। গোলাপ অনেক প্রকার আছে। গোলাপ কুঁড়ি অনেকরকম- প্রস্ফুটিত, গোলাবাড়ি,তাজমহল প্রভৃতি।





গোলাবাড়ি গোলাপ দেখতে খুব মিষ্টি দেখতে। চিনিও মিষ্টি। চিনি প্রায় পিঁপড়েতে খায়। পিঁপড়েদের হাতির প্রতি তীব্র ঘৃ_ণা রয়েছে। লন্ডনের হাতি খুবই বিখ্যাত। লন্ডনের সাথে জার্মানির একবার যু_দ্ধ হয়েছিল। যু_দ্ধ অনেক প্রকার গৃহযু_দ্ধ,বিশ্বযু_দ্ধ এর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বযু_দ্ধ খুবই বিপদজনক। সিংহ খুব বিপদজনক। সিংহের মন আছে। মন খুব চঞ্চল। চঞ্চল আমার পিছনে বসে আছে। চঞ্চল মধুবালার ছোট বোন। মধুবালা শক্তি ছবিতে কাজ করেছিলেন। হাতে অনেক শক্তি আছে। পাঞ্জাবীরা ছোট ছোট মা_রা_মা_রি_তে হাত দিয়ে মা_রা_মা_রি করতে পছন্দ করে।





পাঞ্জাবীরা পাঞ্জাবে বাস করে এবং পাঞ্জাবে ডাকা নাঙ্গাল বাঁধ আছে। আসুন আমরা আপনাকে বলি শিশুর উত্তরপত্রটি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে এবং ছাত্রের উত্তরপত্রটি ‘ফান কি লাইফ’ নামে একটি ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে এবং এটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই এতে মজার মন্তব্য আসছে। কিছু ব্যবহারকারীরা পরীক্ষার্থীর পা ছোঁয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আবার কেউ কেউ এই পদ্ধতিতে প্রশ্নের উত্তর লেখাতে শিক্ষার্থীকে শতকোটি প্রণাম দেওয়ার কথাও বলছেন।




