আমেরিকায় পরবর্তী জি-৭ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিপূর্বে গ্রুপ অফ সেভেন সংগঠনের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সম্মেলন পিছিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে জি সেভেন সম্মেলন অনুষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়ার কারণে এবং সেই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেকদিন ধরে এই নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
ভারত চীন সীমান্তের অবস্থা এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতির ওপর বিচার করে মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও ইন্ডিয়া আইডিয়াজ সামিটে চিনকে ‘দু দেশের বি’পদ’ বলে গণ্য করেন। জি সেভেন সম্মেলনে মোদির ঘটনা সরকারের ওপর যথেষ্ট প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হয়।ঘোষণা, ‘‘চিনের কমিউনিস্ট পার্টি দু’দেশের কাছেই বিপ’দ।’’ গালওয়ান উপত্যকায় নিহত শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চিন নির্ভরতা কমানোর কথাও বললেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের বন্ধুত্বের এই বার্তার পরেই চিনের পাল্টা আক্রমণ। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন ওয়াং ওয়েবিন বলে, “আমরা আশা ও বিশ্বাস করি যে, ভারত তার স্বাধীন গণতান্ত্রিক নীতিতে অটুট থাকবে। ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে ভারত”।
এই বুধবার ইন্ডিয়া-ইউ এস বিজনেস কাউন্সিল দ্বারা আয়োজিত ভারত-আমেরিকা দুই পক্ষের সম্পর্কের পর্যালোচনায় আয়োজিত বৈঠক ইন্ডিয়া লিডস এ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকেই পম্পেও বলেন, ‘ওষুধের মতো ক্ষেত্রে চিন-নির্ভরতা কমাবে আমেরিকা।”একইসঙ্গে বলেছেন কমিউনিস্ট চীনের বিপদের কথা। ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক যেকোনো সাহায্যে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা, এমনকি সব সময় পাশে রয়েছে সে কথা আরেকবার প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশসচিব।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা যে কোনদিন মেনে নেবে না তা দু’দেশই খুব ভালোভাবে জানে। এই বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন। তিনি বলেন, ” আমরা আশা ও বিশ্বাস করি যে, ভারত তার স্বাধীন গণতান্ত্রিক নীতিতে অটুট থাকবে। ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে ভারত।’’গালও”য়ান উপ’ত্যকায় সেনা সংঘ’র্ষের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে ফাটল ধরেছে। কোন নদীকে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অবন’তি ঘটছে।চিনের উহানের ল্যাব থেকে ক’রোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল কিনা সে সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয় নিয়ে তদ’ন্তের হুং’কার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।মার্কিন মুলুকের হিউস্টনের চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হলো তা বলাই যায়।