




মুম্বাই থেকে গোয়া গামী একটি ক্রুজে ড্রা’গ’স পার্টি করার সময় এনসিবি দ্বারা গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। বৃহস্পতিবার দিন দীর্ঘ সময় ধরে বিচার চলার পরও তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সে আর্থার রোড জেলের ব্যারেকে আছে। আরিয়ানের আন্ডার ট্রায়াল নম্বর N956। আরিয়ানকে তার বাবা ক্যান্টিন থেকে খাবার কেনার জন্য 4500 টাকা মানি অর্ডার পাঠিয়েছিলেন। আদালত থেকে বাড়ির খাবার সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ না আসায় আপাতত এইভাবেই আরিয়ানের দিন এগোচ্ছে।





জেলা প্রশাসন কর্তৃক জানা যাচ্ছে যে কো’রো’না-র কারণে কোনো কয়েদি’ই তার পরিবারের সাথে দেখা করতে পারবে না। তাই আদালতের নির্দেশ মেনে সপ্তাহে একদিন করে প্রতিটি কয়েদিকে নিজেদের পরিবারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলানো হয়। এই নির্দেশ মতো বহু দিন পর আরিয়ান বাবা শাহরুখ খান ও মা গৌরি খানের সাথে কথা বলার সুযোগ পায়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মাসে দুই থেকে তিন বার কয়েদিরা নিজেদের পরিবারের সাথে ও উকিলের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ পাবে।





বর্তমানে আর্থার রোড জেলে 11 টি স্মার্ট ফোন আছে। জেলের কয়েদিদের সুবিধার্থে তাদের জন্য ইমেল আইডিও বানানো হয়েছে। যাতে উকিলেরা নিজেদের বার্তা সহজেই তাদের কাছে পাঠাতে পারেন। এনসিবি-র আধিকারিকেরা আরিয়ানের ওপর আরোপ লাগান বিদেশে থাকার সময় থেকেই সে ড্রা’গ’সে’র সেবন করে। তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে জানা যায় এক বিদেশি নাগরিকের সাথে আরিয়ান কন্ট্যাক্টে ছিল। তার থেকেই আরিয়ান হার্ড ড্রা’গ’স কিনত। জানা যাচ্ছে আরিয়ান চার বছর ধরে ড্রা’গ’স সেবন করে।





আরিয়ান খানের উকিল অমিত দেসাই বলেছেন বহু দেশে এইসব পদার্থের মান্যতা আছে। এছাড়াও তাদের কাছে কোনো ড্রা’গ’স পাওয়া যায়নি। এবার তাদের ছেড়ে দেওয়াই উচিত হবে। কারণ এই কদিনে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। জানিয়ে রাখি এখনও পর্যন্ত শাহরুখ খান ও গৌরি খানের তরফ থেকে কোনো বয়ান বা ইন্টারভিউ সামনে আসেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ভীষণভাবে ট্রোল করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মতামত আমাদের জানাতে পারেন।




