




আমাদের দেশে স্থিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য তার আদিবাসী সভ্যতা, সংস্কৃতি তথা খনিজ সম্পদের জন্য বিখ্যাত। বলা হয়ে থাকে ঝাড়খণ্ডের বুকে সোনা পাওয়া যায়। এমনকি এখানকার নদীতেও সোনা থাকে। আপনারা শুনলে হয়তো অবাক হবেন এখানে এমন কিছু রহস্য আছে যা বৈজ্ঞানিকরাও সমাধান করতে পারেননি। এখানকার নদীতে সোনা উৎপাদন হয়। আজ আমরা এখানকার এমনই এক নদীর কথা আপনাদের বলব যার বালিতে সোনার কণা পাওয়া যায়।





এই নদীতে বহুবছর ধরে সোনা উৎপাদিত হয় বলে এই নদীর নাম স্বর্ণরেখা নদী। এই নদী পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যায় বয়ে চলে। বলে রাখি এই নদী 474 কিলোমিটার লম্বা। এর উদ্গম স্থান রাঁচি থেকে 16 কিলোমিটার দূরে। স্বর্ণরেখা নদী তে সোনা কোথা থেকে আসে তা এখনো জানা যায়নি। তবে বৈজ্ঞানিকেরা বলে থাকেন স্বর্ণরেখা নদী অনেক পাহাড়-পর্বত দিয়ে বয়ে আসায় হয়তো সোনার কণা পাওয়া যায় তার মধ্যে।





এই নদীতে সোনা পাওয়ার ব্যাপারে আরেকটি তথ্য প্রচলিত রয়েছে। তা হল- স্বর্ণরেখা নদীর সহায়ক নদী হল “করকরি নদী”। এই নদীতে সোনার কণা পাওয়া যায়। তাই মনে করা হয় হয়তো স্বর্ণরেখা নদী তে সোনার কণা এই নদী থেকেই বয়ে আসে। স্বর্ণরেখা নদী তে যে সোনা পাওয়া যায় তা সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের রুজি রোজগারের প্রধান মাধ্যম। আসলে সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভোরবেলা নদীতটে চলে যান এবং সেখানকার বালি থেকে সোনা খোঁজার চেষ্টা করেন। এই সোনা পাকা সোনা হয় না।





তাদের পাওয়া সোনার কণাগুলি বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। স্বর্ণরেখা নদীতে পাওয়া সোনার কণাগুলি এতটাই ছোট যে কোন ব্যক্তি সারা মাস কাজ করলেও মাত্র 60 থেকে 80 কিলো সোনার কণা-ই পেতে পারে। কখনো কখনো এক মাসে মাত্র 20 থেকে 25 কিলো সোনার কণা তারা পেয়ে থাকে। এই কণা বাজারে বিক্রি করে প্রতি কিলো 100 টাকা করে তারা পান। স্বর্ণরেখা নদী থেকে যারা সোনা খোঁজার কাজ করেন তারা অনেক পরিশ্রম করে এই কাজগুলো করেন। কিন্তু লোভী ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ঠকিয়ে সোনার কণা গুলি বাইরে অনেক বেশি টাকায় বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করেন।




