




নিজেদের সংকল্পবদ্ধ মনোভাবকে সাফল্যের উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব মানুষ লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্য রাখে তারা একদিন একটি বড় জায়গা তৈরি করে নিজেদের জীবনে। এমন একটি গল্প হলো রাজস্থানের বসবাসকারী রুপা যাদব এর। এই মহিলার গল্প শুনলে আপনি আপনার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকতে অনুপ্রাণিত হবেন। যখন রুপা যাদবের বয়স ছিল মাত্র আট বছর এবং সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করত সেই সময় তার বিয়ে হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই রুপা পড়াশোনা খুব পছন্দ করতেন।





রুপার স্কুল বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিল এবং তাকে প্রথমে বাসস্টপে যেতে হতো এবং তারপর সেখান থেকে বাস ধরে স্কুলে যেতে হতো। রুপা ডাক্তার হতে চেয়েছিল। রুপার অতীতের একটি ঘটনা তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের সাথে যুক্ত। আসলে রুপার কাকা ভীম রাও যাদব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা_রা যায়। সবাই বলেছিল যদি তিনি সময়মতো চিকিৎসা পেতেন তাহলে তিনি তার জীবন বাঁচাতে পারতেন।
তখন রুপা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে সে ডাক্তার হবে। রুপা কোনভাবে তার পড়াশোনা শেষ করে 2016 সালে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তিনি মহারাষ্ট্র রাজ্যে স্থান পান।





তারপর তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে এত দূর পড়াশোনা করতে যেতে নিষেধ করেছিল। রুপা 2017 সালে আবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং তিনি সর্বভারতীয় স্তরে 224 তম rank পান।ডাক্তার রুপা তার পরিবারের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলেন। রুপার স্বামী শংকর লাল যাদব একজন অটো চালক এবং তিনি রুপার লেখাপড়ার খরচ বহন করতেন। সমস্ত সামাজিক কুসংস্কারের বেড়াজাল কাটিয়ে রুপা তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। রুপার পড়াশোনার প্রতি এত আনুগত্যতা তার স্বামীকেও অনুপ্রাণিত করে এবং তার স্বামীও পড়াশোনা শুরু করেছেন এবং আজ সে এম.এ প্রথম বর্ষের ছাত্র।।




