




আজকের যুগে বেশিরভাগ মানুষ স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেন কিন্তু অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার করা অনেক সময় ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। অনেকেরই অভ্যাস আছে যারা সব সময় ফোন নিয়ে থাকে আশেপাশে যাই হোক না কেন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকেন।





সোশ্যাল মিডিয়া কখনো কখনো একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনকেও নষ্ট করে দিতে পারে। এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে একজন নারীর পুরো পৃথিবী নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেই সম্পর্কে সে নিজেই জানত না। এই মহিলা ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং-এ এতটাই মগ্ন ছিলেন যে দশতলা থেকে খেলতে গিয়ে তার যমজ সন্তান কখন পড়ে গেছে তা তিনি জানতে পারেননি এবং সেই মায়ের দুই যমজ সন্তান আর এই পৃথিবীতে নেই।





আসলে এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি উঠে এসেছে রোমানিয়ার প্লোস্টি শহর থেকে। এখানে দু’বছর বয়সের যমজরা দশমতলা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে মা_রা যায় এবং সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল তার মা সন্তানের চিৎকার পর্যন্ত শুনতে পায়নি। ওই সময় মহিলাটি ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এর চ্যাটিং এ ব্যস্ত ছিলেন। শুধু তাই নয় পুলিশ তার বাড়িতে পৌঁছালে তিনি তার সন্তানদের মৃ_ত্যু_র খবর পায়।





এমনকি সেসময় মহিলা লাইভে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন এবং পুলিশের মহিলা লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেয় এবং শিশুদের মৃ_ত্যু_র খবর দেয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওই মহিলার নাম আন্দ্রেয়া ভায়োলেটা প্যাট্রিস এবং তিনি তার বাড়ির ভেতরের একটি ঘরে বসে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং এ ব্যস্ত ছিলেন এবং অন্য রুমে সেই মহিলার দু’বছর বয়সের যমজ দুই সন্তান খেলছিল। শিশুরা খেলতে খেলতেই রুমের জানলায় পৌঁছে যায় এবং তারা দশতলার জানালা থেকে নিচে পড়ে যায় যার কারণে ওই নিষ্পাপ দুইজনই তাদের জীবন হারায়।





অন্যদিকে শিশুদের মায়ের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য ছিল না তিনি তার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এ ব্যস্ত ছিলেন। আন্দ্রেয়া যখন জানতে পারে তাদের সন্তানের মৃ_ত্যু_র খবর তখন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন যে দুটি শিশু তার বন্ধুর তত্ত্বাবধানে ছিল। মহিলাটি বলেছেন যে,”শিশুরা জানলায় উঠতে পারেনা।” আশেপাশের প্রতিবেশীরা নিশ্চিত করেছে শিশুরা জানালার উপরে উঠেছে।





অন্যদিকে মহিলার বন্ধু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সব পিতা-মাতার কর্তব্য তাদের সন্তানদের ভালো যত্ন নেওয়া। বাচ্চাদের স্বভাব কৌতুহলপূর্ণ এবং তারা এখানে সেখানে খেলতে থাকে,খেলাধুলার মাঝে যেকোনো দু_র্ঘ_ট_না ঘটতে পারে সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না তাই সব সময় আপনাদের বাচ্চাদেরকে সতর্ক নজরে চোখের সামনে রাখতে হবে এবং এই ঘটনার পরে প্রত্যেকের একটি শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সীমিত হওয়া উচিত।




