




উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে অবস্থিত ত্রিশূল পর্বতে পর্বতারোহণ অভিযানের সময় নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্ত যাদব একটি হিমবাহের শিকার হন এবং তার ভাই রমাকান্ত যাদব সকাল দশটার দিকে বৈকুণ্ঠ ধাম এ পরিপূর্ণভাবে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে শ্রদ্ধা জানান এবং তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।





সোমবার সকাল দশটায় যখন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্ত যাদব এর মৃ_ত_দে_হ বিকাশ নগরে তার বাড়িতে আনা হয় তখন তার লা_শ দেখে তার মা কাঁদতে শুরু করেন, একই সঙ্গে তার স্ত্রীর কান্না থামার নাম নিচ্ছিলো না। পিতাও অনেক কেঁদে স্যালুট জানিয়ে পুত্রকে শেষ বিদায় জানান এবং সেখানকার পরিবেশ অনেক বিষন্ন হয়ে ওঠে। সেখানে উপস্থিত সকলের চোখে জল চলে আসে।





লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্ত এর পরিবার বিকাশ নগর সেক্টর টু আনন্দপুর এ থাকেন। তার বাবার নাম বিজেন্দ্র সিং যিনি একটি বিমানবাহিনী স্টেশনে ওয়ারেন্ট অফিসার পদে নিযুক্ত এবং মায়ের নাম পরি সিং যিনি বাড়িতে থাকেন এবং পুরো বাড়ির দেখাশোনা করেন । লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্ত আজকের মুম্বাইয়ের আই.এন.এস পদে ছিলেন এবং তার স্ত্রী মুম্বাই টাটা স্টিল এ কাজ করতেন।





প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্ত যাদবের দলটি উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরের ত্রিশূল পর্বত জয় করার সময় একটি তুষারপাতের কারণে নি_খোঁ_জ হয়ে যায় যার ফলে সেনাবাহিনী তদন্ত শুরু করেন এবং সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার করে তল্লাশি অভিযান চালায় এ সময় শনিবার রজনীকান্ত এবং অন্যান্য পর্বতারোহীদের মৃ_ত_দে_হ সেখানে পাওয়া যায়।





রজনীকান্ত যাদবের মৃ_ত_দে_হ সোমবার সকালে রাজধানীতে পৌঁছেছে। যখন তার মৃ_ত_দে_হ বিকাশ নগরে পৌঁছায় তখন তার পরিবারের সদস্যরা কাঁদতে শুরু করে এবং ছেলেকে দেখে তার মা এবং বাবার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উত্তরাখণ্ড রাজ্যের এই পর্বতারোহণ অভিযানে তার মৃ_ত্যু_তে গভীর শোক প্রকাশ করে।





লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীকান্তকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তিনি রজনীকান্তের পরিবারের সদস্যদের 50 লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং এর পাশাপাশি তিনি পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার এবং জেলার একটি রাস্তার নাম তার নামে রাখার ঘোষণা দেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”এসময় রাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে আছে।”




