




দীপাবলি একটি বড় উৎসব। দীপাবলি আসার আগে মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করে তাদের ঘর সাজানোর জন্য। দীপাবলি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর সাথে ভগবান গণেশের পুজো করা হয় এবং এই দীপাবলির ঠিক একদিন আগে ধনতেরাস উৎসব হয় যেখানে লোকেরা প্রচুর পরিমাণে সোনারুপো এবং অন্যান্য ধাতু কেনে।





ধনতেরাসের দিন কেনাকাটার পাশাপাশি ভগবান ধনলক্ষ্মী ও কুবের দেবতার পুজো করা হয় এবং শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, ধনতেরাসের দিনে সোনা-রুপোর মতন ধাতু কেনা খুবই শুভ। আমরা সবাই জানি সময়ের সাথে সাথে এমন অনেক রকম মুদ্রা বাজারে এসেছে যার মধ্যে কিছু জাল। রৌপ্যমুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাল মুদ্রায় ভরপুর বাজার, যার কারণে মানুষকে প্রতারিত হতে হয়।





আজকে এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাকে রৌপ্য মুদ্রা কেনার সময় আসল এবং নকল রৌপ্যমুদ্রা কিভাবে শনাক্ত করবেন সেই সম্পর্কে তথ্য দেব। বর্তমানে বাজারে পুরোনো কয়েন পালিশ করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন দোকানদারেরা। যার জন্য আপনাকে জানতে হবে দোকানদার আপনাকে পুরনো পালিশ করা কয়েন বিক্রি করছে নাকি আসল রৌপ্যমুদ্রা দিচ্ছে।





এটি জানার জন্য প্রথমে আপনাকে মুদ্রাটিকে ভালোভাবে দেখতে হবে। মুদ্রার বাইরের দিকে ভালো করে দেখুন, যদি সেখানে ডোরাকাটা হয় তবে বুঝবেন কয়েন পুরনো এবং পালিশ করা হয়েছে। আপনি যদি ধনতেরাসে একটি রূপার কয়েন কেনেন তবে প্রথমে আপনাকে এটিকে মেঝেতে ফেলে আসল নকল শনাক্ত করতে হবে।





আপনি যখন মেঝেতে একটি রুপোর মুদ্রা ফেলবেন আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এর আওয়াজ। কারণ, রৌপ্য মুদ্রা শক্ত, যার কারণে এটি মাটিতে পড়লে থপ করে শব্দ হবে। আপনি বরফের সাহায্য এ আসল এবং নকল রৌপ্য মুদ্রা শনাক্ত করতে পারেন। রৌপ্য মুদ্রার ওপর একটা বরফ রাখুন। যদি বরফ গলতে শুরু করে তবে বুঝবেন মুদ্রাটি আসল কিন্তু যদি বরফ দেরিতে গলে তার মানে দোকানদার আপনাকে নকল কয়েন বিক্রি করেছে।





চুম্বকের সাহায্য আপনি আসল এবং নকল রুপোর মুদ্রা শনাক্ত করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সাথে একটি চুম্বক নিয়ে যেতে হবে যখন আপনি রৌপ্যমুদ্রা কিনতে যাচ্ছেন। যে কয়েনটি আপনাকে দোকানদার দিচ্ছেন সেটিতে চুম্বক লাগানো হলে, যদি কয়েনটি চুম্বক এ লেগে যায় তাহলে দোকানদার আপনাকে জাল রৌপ্য মুদ্রা দিচ্ছে। আশা করি, এই তথ্যটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনাদের উপকারে লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।




