




আমাদের শাস্ত্রে গুরুকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়। গুরু আমাদের মনের মধ্যেকার অন্ধকার দূর করে এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়। আমাদের জীবনে গুরুর সর্বোচ্চ স্থান। আমাদের শেখানোর জন্য তাকে কোন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলেও তিনি পিছপা হন না। এরকমই একটি উদাহরণ হল উড়িষ্যার শিক্ষিকা বিনোদিনী। যিনি প্রতিদিন নদী অতিক্রম করে শিশুদের স্কুলে পৌঁছায়।





49 বছর বয়সী বিনোদিনী ওড়িশার জারিয়াপাল গ্রামে থাকেন। বাড়ি থেকে তিন কিঃমিঃ দূরে তার স্কুল। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে তাকে একটি নদী পার করতে হয়। তিনি 2000 সালে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং 2008 সালে সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং গত 11 বছর ধরে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন এবং 11 বছর ধরে তাকে কেবল নদীতে হেঁটে পেরিয়ে স্কুলে পৌঁছাতে হয়।





বিনোদিনী তার সাথে একজোড়া কাপড় এবং মোবাইল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে যান এবং নদীর পার হওয়ার সময় তার মাথায় প্লাস্টিকের ব্যাগ রাখে এবং সেখানে পৌছানোর পর সে তার গোলাপী ইউনিফর্ম পড়েন। তার বেতন প্রতি মাসে 7000 টাকা। বিনোদিনী বলেন যে গ্রীষ্মে এটি পার করা সহজ কারণ নদীতে জল খুব কম হয়ে যায় বা প্রচণ্ড তাপ এর জল শুকিয়ে যায় কিন্তু বর্ষায় পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।





বর্ষাকালে জল বুক সমান হয়ে যায় তাই নদী পার করতে অনেক সমস্যা হয়। যদিও বিনোদিনী সাঁতার জানেন কিন্তু জল এত বেশি যে অনেকবার পিছলে যাওয়ার কারণে তিনি আঘাত পেয়েছেন। তিনি অনেকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই জলে ভিজে ভিজে যাওয়ার কারণে কিন্তু তিনি কখনও ছুটি নেন নি। তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং ভালোবাসা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ঠিক এরকমই শিক্ষিকাদের প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।




