




মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে মানুষের সংখ্যা অঙ্গদানের ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে ইন্দোরের বাসিন্দা নেহা চৌধুরীকে মস্তিষ্ক মৃ_ত ঘোষণা করার পর তার চোখ দুটো, লিভার এবং উভয় কিডনি দান করা হয়েছিল। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে ইন্দোরের চৈত্রা নামে একটি মেয়ের সাথে। একটি কিডনি সি.এইচ.এল হাসপাতাল এবং অন্যটি বোম্বে হাসপাতালে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।





যদি প্রতিবেদনগুলো বিশ্বাস করা হয় নেহা চৌধুরীকে 12 সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য চৈথ্রম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু এর মধ্যেই তিনি মা_রা যান। ব্রেনডে_ড হওয়ার ঘটনায় নি_হ_ত_র পরিবারের সদস্যরা তার অঙ্গদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং এরপরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল একটি কিডনি সি.এইচ.এল হাসপাতালে এবং অন্য একটি কিডনি বোম্বে হাসপাতালে ইনডোরে রোগীদের জন্য পাঠায় এবং লিভার, চোখ এবং চামড়া পাঠানো হয়েছে চৈথ্রম হাসপাতালে।





নেহা চৌধুরীর স্বামী পঙ্কজ এর মতে নেহার স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার পরেই সে সর্বদা তার বাড়ির সদস্যদের বলতো যে তার মৃত্যুর পর তার কিডনি, ফুসফুস, লিভার এবং চোখ যেনো দান করা হয় তাহলে তার আত্মা শান্তি পাবে। নেহার স্বামী বলেছে যে সে একটি কোম্পানিতে কাজ করে এবং তার একটি তিন বছরের মেয়ে আছে। নেহার কথা মাথায় রেখে তিনি তার অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং তিনি বাকি মানুষদেরকেও তার অঙ্গ দান করার আবেদন করেছেন।





যদি রিপোর্টগুলো বিশ্বাস করা হয় নেহার লিভার একটি 56 বছর বয়সী ব্যক্তির সাথে প্রতিস্থাপন করা হয় যিনি খাতিওয়ালা ট্যাংকের বাসিন্দা এবং হাসপাতালে ভর্তি। নেহার অন্য একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শ্যামনগরের বাসিন্দা 55 বছর বয়সী একটি মহিলার দেহে এবং দ্বিতীয় কিডনি মুম্বাই হাসপাতালের একজন মহিলার সাথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এছাড়াও নেহা চৌধুরি চোখ এবং চামড়া চৈথ্রম হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।





আপনার তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে বলেছি এর আগে 16 সেপ্টেম্বর ইন্দোরে ডেন্টাল সার্জেন্ট ডক্টর সুমিতা পাতিল এর একটি কিডনি হাসপাতালের এক যুবকের কাছে দেওয়া হয়েছিল এবং যুবকের মা জানান 32 বছর বয়সী যুবক প্রায় এক থেকে দু বছর ধরে ডায়ালাইসিসে আছেন এবং তার বোন তাকে এক বছর আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন কিন্তু ট্রান্সপ্লান্ট খুব একটা সফল হয়নি তাই ছেলের আবার ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।





যুবকের মা বলেছিলেন যে ডক্টর সঙ্গীতার কিডনি পাওয়ার পর তিনি ছেলের জন্য একটি উন্নত জীবনের আশা করেন। অঙ্গদানে ইন্দোর সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ইন্দোর শহর দেশের অগ্রভাগে রয়েছে এবং ইন্দোরে লিভার প্রতিস্থাপন এর প্রথম পরীক্ষায় সফল হয়েছিল। 2015 সালের রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যে ইন্দোর শহরের প্রায় বেশিরভাগ মৃ_ত মানুষের অঙ্গদান করা হয়েছে। অঙ্গদানের ক্ষেত্রে তামিলনাড়ু রাজ্য এগিয়ে আছে কিন্তু ইন্দোর শহর এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে।




