




তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় তিন বছর হতে চলল। নতুন জীবনে নতুন সঙ্গী নিয়ে পথ চলা শুরু করেছেন তাঁরা। মালাইকা অরোরা এবং আরবাজ খান… এক সময় বলি পাড়ার ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে পরিচিত এই জুটি আজ একে অপরের থেকে অনেকটাই দূরে। তাঁদের এই ছাড়াছাড়ি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি অধিকাংশ ভক্তই।





আর শুধু ভক্তরাই বা কেন? তাঁদের পরিবারের তরফ থেকেও উঠেছিল আপত্তি। এমনকি বিচ্ছেদের আগের রাতেও মালাইকার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবারের প্রিয়জনেরাও। সেই রাত, সেই ‘বাত’ নিয়েই করিনা কপূরের চ্যাট-শোতে মালাইকার অকপট স্বীকারোক্তি এই লকডাউন পিরিয়ডে হঠাৎই ভাইরাল। কী বললেন মালাইকা? কী বলেছিলেন পরিবারের লোকেরা এই বিচ্ছেদ নিয়ে?





“সবাই বলেছিল কোরো না। বিচ্ছেদের পথে পা দিও না। আমি আদৌ এই সিদ্ধান্তে শিওর কি না সে নিয়েও উড়ে এসেছিল প্রশ্ন,” বলছিলেন মালাইকা। পরিবারের লোকেরা তাঁর জন্য বেশ চিন্তায় ছিলেন সে কথাও জানান ‘ছাইয়া ছাইয়া গার্ল’।





আরবাজ আর মালাইকার ছেলে তখন বেশ ছোট। বাবা-মা’র এত বড় সিদ্ধান্তে তার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? মালাইকার কথায়, “আরহানের কাছে আমার খুশিই সবচাইতে ম্যাটার করে। পুরো ব্যাপারটাই খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছিল ও।” তবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না মোটেও। এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি যে হবে তা জানতেন দু’জনেই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনেই খবরটা একসঙ্গে জানিয়েছিলেন।





পরিবারকেও পাশে পেয়েছিলেন এই কঠিন সময়ে। কিন্তু ট্রলিং পিছু ছাড়েনি। বয়সে অনেকটাই ছোট অর্জুন কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় কথা শুনতে হয়েছিল মালাইকাকে। অর্জুন কপূর আবার আরবাজের বোন অর্পিতার প্রাক্তন। তাই নিয়েও উড়ে এসেছিল নানা কটু মন্তব্য। যদিও সে সব গসিপকে পাত্তা না দিয়ে বর্তমানে ভাল আছেন মালাইকা-অর্জুন।





ও দিকে আরবাজও ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন জর্জিনার মধ্যে। শোনা যাচ্ছে শিগগিরি বিয়ে করবেন তাঁরা। ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন আরবাজ-মালাইকা। প্রেম ছিল মাখোমাখো। কিন্তু কখন যে কী হয়…প্রেম বড়ই ব্যাপার।





এদিকে সম্প্রতি মালাইকা আরও বলেন, ”ডিভোর্স হওয়ার আগেরদিন রাতে, তাঁর সঙ্গে পরিবারের কথা হয়। তারা বারবার জানতে চান, এই সিদ্ধান্তে আমি একশ শতাংশ সহমত কিনা! যেটা আমায় সারাক্ষণ শুনতে হয়েছে এবং এখনও হয়। এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা এত বেশি চিন্তিত এবং আপনার খেয়াল রাখে, তারা এটা বলবেই।”





৪৬ বছরের অভিনেত্রী জানান, তিনি এবং আরবাজ সর্বশেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছবার আগে প্রতিটা ছোট ছোট পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারপরেই তাদের বিয়ে শেষ করার জন্য এগিয়েছেন।





মালাইকা আরোর, আরবাজ খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ১৯৯৮ সালে। কিন্তু ২০১৬ সালে তাদের আলাদা হওয়ার খবরে হতবাক হয়ে যায় গোটা ইন্ডাস্ট্রি। এরপর ২০১৭, পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পর নিজেদের মতো করে এগোলেন দুজনে। মালাইকা-আরবাজের বিচ্ছেদের সময়টা প্রায় দুবছর, এর মধ্যেই অর্জুন কাপুরের সঙ্গে মালাইকার সম্পর্কের কথা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যদিকে, আরবাজ খান খুশি জর্জিয়া অ্যান্ড্রিয়ানির সঙ্গে।





করিনা কাপুরের চ্যাট শোয়ে এসে নিজের বিচ্ছেদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন মালাইকা আরোরা খান। আরবাজ খানের সঙ্গে আলাদা হওয়ার সময় পাশে পাননি কোনও পরিবারকে। বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মালাইকা বলেন, ”আমার মনে হয় প্রত্যেকের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল ‘এটা করো না’। কেউ তোমাকে বলেনি, হ্যাঁ, যা ঠিক মনে হয় সেটাই কর। সকলে বলেছে, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে ভালভাবে ভেবে নেওয়া প্রয়োজন। আমিও এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি।”





প্রসঙ্গত, শোনা যায়, অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন মালাইকা। আগে প্রকাশ্যে সেই কথা না বললেন, এখন সোশাল মিডিয়ায় খোলাখুলিভাবেই নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তবে দেখে মনে হয় না এখনই তাদের বিয়ে করার মতো কোনও ইচ্ছে রয়েছে। ম্যাডলি ইন লাভ বলতে যা বোঝায় সেই পর্যায়টাই উপভোগ করছেন যুগলে।




