




কন্যা তার অর্ধেক জীবন পিতা-মাতার বাড়িতেই ব্যয় করে। কন্যা কখন বড় হয় তাদের বাবা-মাও জানতে পারেনা। বিয়ের পর মেয়েরা যখন তার শ্বশুর বাড়িতে যায় তখন বাড়ির সৌন্দর্য তার সাথে যায়। বিয়ের পর মেয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার পর শুধু মেয়ের স্মৃতি রয়ে যায়। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ার সময় বাবা-মার আদরের মেয়েকে অনেক উপহার দেয় কিন্তু এরইমধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে একটি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে যেখানে এক শ্বশুর তার পুত্রবধূকে একটি গাড়ি উপহার হিসেবে দিয়েছেন বিদায়ের সময়।





শ্বশুরবাড়ির এই উপহার পেয়ে পুত্রবধূ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন এবং তিনি কাঁদতে শুরু করেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বসবাসকারী এক ব্যবসায়ী এক কৃষকের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্ক ঠিক করেছিলেন। যখন মেয়ের বিয়ে হয় তখন বিদায়ের সময় বরের বাবা কনের বাড়ির বাইরে একটি নতুন গাড়ি নিয়ে পার্ক করেন। নববধূ যখন গাড়িটি দেখেন তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটি কার তখন তিনি জানতে পারলেন যে শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে এই গাড়িটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন।





আপনাকে জানিয়ে রাখি যে কানপুরের বাসিন্দা অর্পণ কুমার তার নিজ গ্রামের কৃষক চন্দ্রগ্রহণের মেয়ে অঞ্জলীর সাথে তার ছেলে আদর্শ রাজের বিয়ে ঠিক করেছিলেন এবং অর্পণ কুমারের ছেলে একজন মডেল ইঞ্জিনিয়ার। আদর্শ এবং অঞ্জলীর বিয়ে সাকেট নগর ভবনে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে হয়েছিল। পরদিন সকালে যখন অঞ্জলীর যাওয়ার সময় এলো তখন তাকে একটি নতুন গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হলো,যখন অঞ্জলী গাড়িতে বসলো তখন শ্বশুর অর্পণ কুমার অঞ্জলীর হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিলেন।





যখন অঞ্জলীকে তার শ্বশুর গাড়ির চাবি দিয়েছিলেন তখন তিনি কিছুটা চিন্তায় পড়েছিলেন এবং পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন বাবা তাকে গাড়ির চাবি দিয়েছেন এই বিষয়ে অঞ্জলীর স্বামী আদর্শ রাজ তাকে বলেছিলেন যে,”তার বাবা তাকে এই গাড়ি উপহার দিয়েছেন এই কথা শুনে অঞ্জলী খুব আবেগ আপ্লুত হয়ে পরল এবং তার চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্রু গড়িয়ে পড়ল এবং শ্বশুরবাড়িতেও নতুন গাড়ির খবর আত্মীয়রা পাওয়ার সাথে সাথে তারা অবাক হয়ে গেল।”





আসুন আমরা আপনাকে বলে রাখি বরের বাবা অর্পণ কুমার ত্রিবেদী একজন গালা ব্যবসায়ী এবং একটি বন্দুক ঘরের মালিক। তিনি তার পুত্রবধূ এবং তার পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন দীর্ঘদিন ধরে। উভয় পরিবারের মধ্যে ভালো পরিচয় ছিল। তিনি কঠোরভাবে যৌতুকের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং মেয়ের পক্ষ থেকেও কোনো দাবি করেননি।





শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে গাড়ি পাওয়ার পর অঞ্জলীকে উপহারের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল তখন নববধূ অঞ্জলী বলেন,”প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি কেন তাকে চাবি দেওয়া হয়েছিল এবং যখন তিনি গাড়িতে বসলেন তিনি তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন তখন স্বামীর জানালেন যে গাড়িটা তার বাবা উপহার হিসেবে দিয়েছেন এবং এটি জানার পর অঞ্জলি কাঁদতে শুরু করেন। অঞ্জলী বলে,”তিনি খুব ভাগ্যবান” এবং তিনি বলেছিলেন যে,” তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী বলে মনে করেন যে এই ধরনের শ্বশুরবাড়ি তিনি পেয়েছেন।”




