




খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন শিলাবতী নদী তীরবর্তী সেই স্থানে, একটি পুরোনো মন্দির ছিল সেখানে, প্রায় দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার এই শিবলিঙ্গ গুলি কীভাবে এখানে এলো তা ভেবে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি নদী তীরবর্তী এই এলাকাটিকে ঘিরে পুরাতত্ত্ববিদ দিয়ে খননকার্য করিয়ে দেখা হোক। তাহলে বেরিয়ে আসতে পারে কোনও প্রাচীন ইতিহাস, যার ঐতিহাসিক মূল্য অনেক ।





জানা গিয়েছে, এই স্থানে গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছিল। এদিন বড় আকনা গ্রাম সংলগ্ন শিলাবতী নদীর এক স্থান থেকে জেসিবি মেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছিল। দুপুর নাগাদ মেশিনেই উঠে আসে একটি ছোট শিবলিঙ্গ। তার পাশাপাশি স্থান থেকে উঠে আরও দুটি শিবলিঙ্গ। প্রতিটিই উচ্চতা দুই থেকে আড়াই ফুট। যারা বালি তুলছিলেন তারা জেসিবি থামিয়ে বালি তোলা বন্ধ রেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি বলেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুপুরেই দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমান সেখানে।





প্রশান্ত দিন্দা, রাজীব মানিক সহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গভীর গর্ত খুঁড়ে নদীর বালি তুলতেই তিনটি শিবলিঙ্গ উঠে আসে। শুধু শিবলিঙ্গই নয়, মাটির নীচ থেকে পাথরের খোদাই করা প্রদীপ, মন্দিরে ব্যবহৃত পাথরের কারুকার্য করা বাসনকোসন, নক্সা করা পাথরের নানান জিনিষপত্র উদ্ধার হয়। স্থানীয় বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে খবর দিয়ে এই স্থানটিকে সংরক্ষিত করার দাবি ওঠে।





এলাকার এক স্কুল শিক্ষক বিদ্যুৎ সামন্ত এগুলি দেখে বলেন, ” মনে হচ্ছে এখানে কোনও প্রাচীন শিব মন্দির ছিল, তবে এই স্থানে সরকারি ভাবে পুরাতত্ববিদ দিয়ে খননকার্য চালানো উচিত, সেক্ষেত্রে কোনও প্রাচীন ইতিহাস উদঘাটিত হতে পারে। যা গবেষণার কাজে লাগতে পারে।”আমাদের আর্টিকেল ভালো লাগলে নীচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন, এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন , ধন্যবাদ.. ভালো থাকবেন




