




বর্তমান সময়ে সমাজ থেকে মানবিকতা যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে জানা যাচ্ছে এক 40 বছরের ব্যক্তি তার বাগদত্তা -কে খুন করেছে। এই ব্যক্তিটির নাম নবিন্দর প্রিতপাল সিং। আসলে এই ব্যক্তিটির বাগদত্তা বিয়ের এক সপ্তাহ আগে কেনাকাটা করার জন্য পাতিয়ালা যান। যেখানে নবিন্দরের বাড়ি।





বিয়ের কেনাকাটা শেষ হতে রাত হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়ির লোকের পারমিশন নিয়ে নবিন্দরের বাড়িতেই রাতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরের দিন যখন তাকে দেখা যায় না, নবিন্দরের বাবা-মা খোঁজ করলে জানায় যে তার বাগদত্তা রাগ করে রাতেই চলে গেছেন। কিন্তু যখন তিনি বাড়িতেও পৌঁছান না তখন তার বাড়ির লোকেরা পুলিশ কমপ্লেন করেন। পুলিশ নবিন্দর ও তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।





এরপর তাদের নবিন্দর কে সন্দেহ হয়। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞেস করার পর যা জানা যায় শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। নবিন্দর বলে 14 তারিখ রাতে সে ইনহেলারে নাইট্রোজেন গ্যাস ভরে নিজের বাগদত্তা কে দেয়। আর তাকে বলে যে এই গ্যাসে নিঃশ্বাস নিলে তার মুখ গ্লো করবে আর তাকে আরো সুন্দর লাগবে। কিন্তু এই গ্যাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার সাথে সাথেই তিনি মৃ’ত্যু’র কোলে ঢলে পড়েন।





এরপর তার মৃতদেহ নবিন্দর নিজের বেডরুমে পুঁতে ফেলে যাতে কেউ জানতে না পারে। তদন্ত করার পর জানা যায় নবিন্দর প্রথম এই কাজ করেনি। 2018 সালে তার প্রথম স্ত্রীকেও এইভাবেই খু’ন করেছিল সে। তার প্রথম স্ত্রী সুখদীপ কৌরের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে নাইট্রোজেন গ্যাস শুঁকিয়ে মেরে ফেলে নবিন্দর। বর্তমানে এই দুই হত্যা নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশ তদন্ত করছে।




