




“কো’রো’না ভা’ই’রা’স” আমাদের জীবনকেই পুরো বদলে রেখে দিয়েছে। এই ভা’ই’রা’সে’র কারণে আজ বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি আজ তলানিতে ঠেকেছে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা তো ছেড়েই দিলাম। পড়াশোনা পুরোপুরোপুরি অনলাইন মাধ্যমে হওয়ায় একদল পড়ুয়ার যেখান লাভ হয়েছে, অপরদিকে বহু পরিশ্রমী, মেধাবী পড়ুয়াদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।





এই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষার কারণে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী পরিশ্রমী হয়েও নিজের পরিশ্রমের মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা পরবর্তী সময়ে দেশের জন্য ভয়াবহ প্রমাণ হতে পারে। আজ আমরা আপনাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপারে নয় বরং একটি বাচ্চার ব্যাপারে বলব। এই বাচ্চাটির বাড়ি ধুপগুড়ি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। বাবার নাম সঞ্জয় তরফদার। এই বাচ্চাটির নাম রাজদীপ তরফদার। বর্তমানে সে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।





ভয়াবহ কো’রো’না পরিস্থিতির কারণে তার বাবা এই বছর পুজোয় তাকে নতুন জামা কিনে দিতে অপারগ। এই বয়সের বাচ্চাদের সাধারণত এমন রূঢ় অবস্থা বোঝার ক্ষমতা থাকে না। তারা আশেপাশে যা দেখে বিশেষ করে বন্ধুদের যা ব্যবহার করতে বা পরতে দেখে তা-ই চেয়ে বসে। কিন্তু রাজদীপ তা করে না। এইটুকু বয়সে সে বুঝে গেছে তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তার বন্ধুদের পরিবারের মতো না।





তাই এই বছর দুর্গাপুজোতে তার বন্ধুদের নতুন জামাকাপড় হলেও সে এই নিয়ে কোনো বায়না করেনি। বরং নতুন জামাকাপড় কেনার বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। সঞ্জয় তরফদারের দুই ছেলে। একজন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে আর অপরজন পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে। রাজদীপের দাদা তার বাবার সাথেই চায়ের দোকানে বসে। তাই রাজদীপ এবার পুজোতে নতুন জামা কেনার জন্য নিজেই টাকা রোজগার করার কথা ভেবেছে। বাবার দোকানের সামনেই শাক-সবজি বিক্রি করছে সে।





এই খবর সামনে আসার পর থেকেই অনেকে জানাচ্ছেন তারা রাজদীপকে নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে চায়। কিন্তু কেবল রাজদীপকে দিলেই হবে না পাশাপাশি তার দাদাকে অন্তত দিতে হবে। দুজনেই বাচ্চা। একজন পুজোতে নতুন জামা পেলে আর অপরজন না পেলে স্বভাবতই খারাপ লাগবেই। পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলি এমন কোনো ছোটো বিক্রতাকে দেখলে তার থেকে অল্প কিছু হলেও কেনার চেষ্টা করবেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মতামত আমাদের জানাতে পারেন।




