




ছোটপর্দার বিখ্যাত অভিনেতা ছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। 2 রা সেপ্টেম্বর মাত্র 40 বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কারণে তার নি’ধ’ন হয়ে যায়। কালার্স এর বিখ্যাত ধারাবাহিক “বালিকা বধূ” তে প্রধান চরিত্র “শিব” এর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি এন্টারটেনমেন্ট জগতে নিজের নাম অর্জন করা শুরু করেন। কালার্স এর আরেকটি ধারাবাহিক “দিল সে দিল তাক” এ অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন। “খাতরো কি খিলাড়ি সিজন 7” এ নিজের ফিটনেসের অসাধারণ প্রমাণ দিয়েছিলেন।





সিজেন 7 তিনিই জিতেছিলেন। নিজের অভিনয়ের জন্য তো তিনি বিখ্যাত ছিলেনই। কিন্তু তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায় যখন তিনি কালার্স এর বিখ্যাত রিয়েলিটি শো “বিগ বস সিজন 13” এ প্রবেশ করেন। আপাত দৃষ্টিতে তাকে অহংকারী মনে হলেও দিন এগোনোর সাথে সাথে তার ভালো দিকগুলো দর্শকদের সামনে আসতে থাকে। আর এই কারণেই মূলত তিনি এই সিজনের বিজয়ী হন। এই সিজনে তার সাথে আর একজন কন্টেসটেন্ট ছিলেন শাহনাজ গিল। যার সাথে সিদ্ধার্থের কেমিস্ট্রি অসামান্য ছিল। তাদের দুজনের জুটি কে দর্শকেরা ভীষণ পছন্দ করেছিলেন।





সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একই রকম ছিল। অনেকেই সন্দেহ করতেন যে হয়তো তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু ছিল। “বিগ বস ওটিটি”তে এসে সিদ্ধার্থ ও শাহনাজ স্বীকার করেছিলেন যে তারা একটি সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু তারা সেই সম্পর্কের নাম দিতে রাজি ছিলেন না। সিদ্ধার্থ মা”রা যাওয়ার পর সদা হাস্যজ্জল শাহনাজ গিল কে ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। দেখা গেছে সিদ্ধার্থের মাকে ছেলের শেষ ছবি বুকে আগলে বসে থাকতে। সিদ্ধার্থের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।





সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন তিনি ছোট থেকেই তার মাকে সব কথা বলেন। তার মা তার প্রিয় বন্ধু। জীবনে তিনি যা’ই হতে পেরেছেন তাতে তার মায়ের অবদান অনস্বীকার্য। সিদ্ধার্থেরা তিন ভাইবোন ছিলেন। সবথেকে ছোট ছিলেন সিদ্ধার্থ। তিনি ছোট থেকেই তার মায়ের কাছেই থাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। সিদ্ধার্থ এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন 15 বছর আগে যখন তার বাবা মারা যান তখন তাদের মনে হয়েছিল মাথার ওপর থেকে ছাদ চলে গেছে। কিন্তু তাদের মা ভেঙে পড়েননি বরং আরও শক্ত হয়ে সন্তানদের সামলেছেন এবং সর্বদা সৎ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।




