




বলিউডে যে অভিনেতা-অভিনেত্রী যত বেশি পপুলার তার পার্সোনাল লাইফ নিয়ে ততবেশি চর্চা হয়। আজ আমরা বর্তমান সময়ের কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলবো না বরং বলব পুরনো সময়ের বিখ্যাত অভিনেত্রী অরুনা ইরানির ব্যাপারে। এই অভিনেত্রী তার সময়কার বিখ্যাত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার অভিনয় থেকে নাচ সবই দর্শকদের মনে দাগ কেটে যেত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অরুনা ইরানি কে নেগেটিভ রোল দেখা যেত। কিন্তু নিজের অভিনয়ের গুনে তার চরিত্র ছাপিয়ে যেত হিরোকেও।





একটি ফিল্ম যেমন নায়ক ছাড়া বেমানান তেমনি খলনায়ক ছাড়াও নায়কের কোনো ভূমিকা নেই। অরুনা তার আট ভাইবোনের মধ্যে সবথেকে বড় ছিলেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পেরেছিলেন অরুনা। এরপর মাত্র 15 বছর বয়সে অভিনয় জগতে তার পদার্পণ হয়। অরুনা ইরানি হিন্দি, গুজরাটি প্রভৃতি ভাষায় পাঁচশোর বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তিনি অনপড়, অলাদ, হামজলি, দেবী, ফার্জ, নয়া জামানা, ববি, রকি, ফকিরা, লাভ স্টোরি, বেটা, উপকার এর মত ফিল্মে অভিনয় করেছেন।





1984 সালে মুক্তি পাওয়া ফিল্ম “পেট পেয়ার ওর পাপ” এর জন্য তিনি “ফিল্মফেয়ার বেস্ট সাপোটিং রোল” অ্যাওয়ার্ড পান। একবার অরুনা ইরানির সাথে ডাইরেক্টর ও প্রডিউসার মাহমুদের নাম জড়ায়। তারা কোনদিন স্বীকার না করলেও জানা যায় তাদের বিয়ের কথা পর্যন্ত হয়েছিল। অরুনা ইরানি 40 বছর বয়স পর্যন্ত বিয়ে নিয়ে ভাবেন নি। তবে 1990 সালে ডাইরেক্টর কুক্কু কোহলির সাথে বিয়ে করেন। কুক্কু কোহলির প্রথম বিয়ে থেকে সন্তান ছিল। সেই সন্তানদের মাতৃস্নেহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে অরুনা ইরানি নিজের সন্তান ধারণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।।




