বী’র সেনা’দের নিজে হতে খাইয়ে দিয়ে তাদের মায়েদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ভারত-চীন সীমা’ন্তে উ’ত্তেজনার মাঝেই লেহ-তে প্রধানমন্ত্রীর আচ’মকাই আগমন, দেখুন ভিডিওভারত-চীন সীমা’ন্ত বি’রোধের কারণে গত কয়েকদিন ধরে দুই দেশের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না এবং এই সময়ে উ’ত্তেজনা আরও বেড়েছে। গালভান উপত্য’কায় ভারতীয় ও চীনা সৈ’ন্যদের  সংঘ’র্ষের পর থেকেই ভারত ক্রমাগত চীনকে বলতে চেষ্টা করে চলেছে যে আমরা যারা ভ’য় পায় তাদের মধ্যে নেই এবং ভারত তার বার্তা জানাতে খুব সফল হয়েছে। এদিকে, গ্যালভান ভ্যালি সম্পর্কে কোনও দৃঢ় ফলাফল আনার আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি বড় পদক্ষেপ নিলেন এবং আজ সকালে আচম’কাই লেহের নি’মুতে সে’না কর্মীদের কাছে গিয়ে সেখানে তাদের উত্সাহিত করলেন।

পুরো দেশ যখন ঘুমাচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদী সকাল ৭ টায় লেহে পৌঁছেছিলেন। তিনি সরাসরি লেহে নিমু পোস্টে পৌঁছেছে। জানা গেছে যে এই অঞ্চলটি লেহ বিমানবন্দর থেকে প্রায় 35 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী সকালে এখানে পৌঁছে সে’নাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন এবং সেখানে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং পূর্ণ পর্যালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিমু পোস্টে নির্মিত বিশেষ বাংকারে উপস্থিত সৈ’ন্যদের সাথেও দেখা করেছেন।আসুন আমরা জানি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী সৈ’ন্যদের উ’ত্সাহ দিয়েছিলেন এবং তাদের উত্সাহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর লেহ সফরের ছবি প্রকাশিত হয়েছে, এতে স্প’ষ্টভাবে দেখা যাবে যে প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের সাথে বসে সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন।

লেহ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী একা ছিলেন না, তাঁর সাথে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সে’নাপ্রধান জে’নারেল এম এম নারওয়ানে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রা’জনাথ সিংকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজনাথ সিং এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে প্রথম তালিকায় ছিলেন, তবে পরে কিছু কারণে তার সফর বা’তিল করা হয়েছিল।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, লে’হে অবস্থিত নিমুটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ এবং বিপ’জ্জনক পোস্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর আ’কস্মিক সফর দেখে সবাই অবাক হয়েছিল। এর আগে বলা হয়েছিল যে কেবল প্রতির’ক্ষা বাহি’নী প্রধান লেহের নিমু পোস্টে আসবেন, তবে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদীও এই সফরে অংশ নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান উ’ত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সময়ে চীন সীমা’ন্তে যে ধরণের পরিস্থিতি বিদ্যমান এবং এরই মধ্যে পিএম মোদীর লেহে আগমন একটি দৃঢ় পদক্ষেপ এবং এটি চী’নের জন্য একটি বড় সতর্কতা হিসাবেও বিবেচিত হয়।

আসুন আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, গত দু’মাসে বিষয়টি শান্ত করার জন্য চীনের সাথে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত এর কোনও নিরপেক্ষ ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সৈ’ন্যদের মধ্যে পৌঁছলে সেখানে উপস্থিত সৈ’ন্যরা ভারত মাতা কি জয় ও বন্দে মাতরমের স্লোগান দেয়।

চীনা সে’নাদের সঙ্গে সংঘ’র্ষে ২০ জন ভারতীয় সে’না প্রা’ণ হারিয়েছিলেন গত ১৫ ই জুন। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কয়েকবার চীনের নাম না করে হুঁ’শিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সম্প্রসারণবাদের দিন ফুরিয়েছে।অন্য দেশের ভূ’খণ্ড এখন গায়ের জোরে দখল করা যায় না। ভারত আর কোনও আগ্রাসন স’হ্য করবে না। ভারতের মাটিতে শ’ত্রু সে’না থাকলে তার যোগ্য জবাব দেবে, ইত্যাদি। যদিও চীনের নাম না করার জন্য বিরো’ধীদলগুলো তাঁর যথেষ্ট সমালোচনা করেছে। ইতিমধ্যে চীনা পণ্য নি’ষিদ্ধ করে চীনা মোবাইল অ্যাপ নিষি’দ্ধ করে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে চীনকে। তবে আজকের এই সফর প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে করেছিলেন। ওই অঞ্চলে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ইন্দোটিবেটান ব’র্ডার পু’লিশ বা আইটিবিপি জওয়া’নদের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলেন। তার পর একটি আবেগপ্রবণ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী বলেছেন, আপনারা আজ ভারতের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন। তবে আপনাদের সা’হস এই হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। আজকেও একবারও চীনের নাম করেননি নরেন্দ্র মোদী। তবে পরোক্ষভাবে চীনকে ক’ড়া হুঁ’শিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভারত ষাটের দশকের ভারত নয়। এই ভারত আ’গ্রা’সন স’হ্য করবে না। যতবার শ’ত্রু আ’ক্রমণ করবে, ভারত ততবার নিজেকে আরও বেশি প্রস্তুত করে তুলবে। প্রতিটি আ’ক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ভারত আরও বেশি শ’ক্তিশালী হয়ে উঠবে। মো’দী বলেন ভীরুরা দেশর’ক্ষায় সমর্থ হয় না, সাহ’সীরাই দেশের প্রকৃত শ’ক্তি। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীর মধ্যে নারী বাহিনীর বিশেষ করে প্রশং’সা করে বলেন, নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে নারী বাহিনী যেভাবে দেশ রক্ষার কাজ করে চলেছে তা দৃষ্টান্তস্বরূপ।

উপস্থিত সৈ’ন্যদের উদ্দেশে মোদী বলেন, আপনারা সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আপনারা দেশ রক্ষায় সক্ষম। আর আমরা ভারতবর্ষের মানুষও তাই আপনাদের সা’হস ও বীরত্বের জন্য নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছি, কারণ দেশবাসী জানেন যে আপনাদের হাতে দেশ নি’রাপদ, সুতরাং তাঁরাও নি’রাপদ। সারা দেশের নানা জায়গা থেকে সৈ’ন্যরা এসেছেন এখানে কাজ করতে, তাঁদের কয়েক জন কর্তব্যপালন করতে গিয়ে প্রা’ণ হারিয়েছেন। কিন্তু আমি বলে রাখছি এই প্রা’ণদান বিফলে যাবে না। ভারত আপনাদের বী’রত্বের কথা চিরকাল কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

Related Posts

চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু, আজ এই নারী কোটিপতি

শিনীল তিলওয়ানি। ২০১০ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের নার্সি মনজি ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে পড়ার সময় থেকেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে…

চাপের কাছে নতি স্বীকার, ভারতীয় সেনার সাথে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দীর্ঘক্ষন আলোচনায় সমাধান চাইছে চীনা সেনা

মঙ্গলবার কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনার সময়কে অগ্রাধিকার দিয়ে, লাদাখের এলএসি এর নিকটবর্তী অঞ্চলে দ্রুত, পর্যায়ক্রমে এবং পদক্ষেপ অনুসারে ভারতীয় ও চীন সেনাবাহিনী পুনরায় আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে। ৩০…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *