




আজ বলিউডের “বাদশাহ” শাহরুখ খানকে সকলেই চেনেন। কিন্তু একদিনে এই “বাদশাহ” খেতাব পাননি তিনি। বহুদিনের চেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলে আজ তিনি এই জায়গায়। বর্তমানে তিনি যুবসমাজের প্রেরণা। চোখে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত মুম্বাই এর মাটিতে লড়াই করে চলা হাজার হাজার উঠতি অ্যাকটরদের অনুপ্রেরণা তিনি। কিন্তু এইসব কিছু তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। একসময় শাহরুখ খান ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। দারিদ্রতার সাথে লড়তে লড়তে বিরক্ত হয়ে গেছিলেন তিনি। এই সময় বাবা-মাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান শাহরুখ খান।





কিন্তু এত কিছুর পরেও তিনি হার মানেননি। আর আজ তিনি বলিউডের “কিং খান” হয়েছেন। এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন যে তিনি কখনও নিজের বাবার মতো মরতে চান না। শাহরুখ খানের বাবা মীর তাজ মোহাম্মদ খান মারা যাওয়ার পর বহু অসুবিধার সম্মুখীন করতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি তাঁর বোন শাহনাজ লালারুখ বুরী ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়েন। আর পুরো পরিবারের দায়িত্ব শাহরুখ খানের কাঁধে এসে পড়ে। শাহরুখ খানের যখন মাত্র 15 বছর বয়স তখন তাঁর বাবা ক্যা’ন’সা’রে’র কারণে মা’রা যান।





তাঁর বাবার শব বাড়িতে আনার জন্য ড্রাইভার রাজি হয় না। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাতে না জানা সত্বেও কোনো রকমে তাঁর বাবার শব গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যান। এক ইন্টারভিউতে তিনি জানান ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার জন্য তিনি অভিনয় করতেন। জানিয়ে রাখি “দিল আশনা হে” ফিল্ম থেকে শাহরুখ খান বলিউডে ডেবিউ করেন। এর আগে অবশ্য তিনি “ফৌজি” নামক একটি টিভি সিরিয়ালে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর খ্যাতি হয় “দিওয়ানা” ফিল্ম থেকে। 2005 সালে তাঁকে সরকার দ্বারা “পদ্মশ্রী” সম্মান দেওয়া হয়।




