




ভালোবাসার সম্পর্কে বয়স কখনো দেখতে নেই। কিন্তু বয়সে বড়ো ছেলেকে বিয়ে করলে সম্পর্ক মধুর হয়। আরও বিস্তারিত জানুন-





1. সম্পর্কের পরিপক্কতা- বয়সে বড় ছেলেকে বিয়ে করলে সম্পর্কে পরিপক্কতা আসে। আর সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী ও সুখকর হয়। স্বামী যদি স্ত্রীর থেকে বয়সে বড় হয় তবে সেই সম্পর্কে স্বামী অনেক দায়িত্ববান হয়ে থাকে। স্ত্রীয়ের ছোট-বড় সবদিকেই স্বামীর তখন নজর থাকে। ভুল-বোঝাবুঝি প্রায় হয় নাই বলতে গেলে।





2. স্ত্রীর প্রতি অধিকার- স্বামী যদি বয়সে ছোট হয় তবে তার মধ্যে বাস্তব জ্ঞান কম থাকে। সে সব সময় ভয় পায় হয়তো তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই সে স্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত অধিকার দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু একটু বেশি বয়সের পুরুষেরা নিজের স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালো করে বুঝতে পারে। যার ফলে তারা স্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত অধিকার দেখানোর বদলে স্ত্রীকে নিজস্ব সময় দেয়।





3. বাহ্যিক সৌন্দর্য- অল্প বয়সে পুরুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের বাহ্যিক সৌন্দর্য কে প্রাধান্য দেয়। একটা মেয়ের বুদ্ধি ও মনকে গ্রাহ্য করে না। অপরদিকে বেশি বয়সের পুরুষেরা বাহ্যিক সৌন্দর্যের বদলে নারীর বুদ্ধিমত্তা ও সুন্দর মন কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।





4. আর্থিক অবস্থা- অল্প বয়সের ছেলেরা টাকা বাঁচানোর বদলে খরচ করতে বেশি পছন্দ করে। অপরদিকে বেশি বয়সের পুরুষেরা টাকা খরচ করার পাশাপাশি সাশ্রয় করতেও পারদর্শী হয়।





5. সম্পর্কের স্পষ্টতা- অল্প বয়সের ছেলেরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট হয় না। তাদের মন সর্বদা বিচলিত থাকে সম্পর্কের স্পষ্টীকরণ নিয়ে। অপরদিকে বেশি বয়সের পুরুষেরা প্রথম থেকেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট থাকে। তারা জানে তাদের সম্পর্কের পরিণতির কথা।





6. সম্মান- প্রতিটি সম্পর্কেই সম্মান ভীষণ প্রয়োজন। বৈবাহিক জীবনে ভালবাসা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু সম্মান তার থেকেও বেশি প্রয়োজন। স্বামী স্ত্রীর থেকে বয়সে বড় হলে স্ত্রী স্বামীকে সম্মান করে। আর স্বামী ও স্ত্রী এর ছোট বড় ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে। স্বামীর অভিজ্ঞতা বেশি হওয়ায় স্ত্রীকে অনেক সময় বড় কোন ভুল করার থেকে রক্ষাও করতে পারে। সবশেষে বলে রাখি প্রতিটি সম্পর্কই মূল্যবান। প্রতিটি সম্পর্কের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব থাকে। প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা। তাই নিজেদের সম্পর্ককে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে না দেখে একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা বেশি বুদ্ধিমানের। আর একটা সম্পর্কে কথোপকথন আর সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।




