




দেশ ও বিদেশের এমন অনেক ঘটনা আছে যা মানুষকে বেশ অবাক করে। এদিকে ভাগলপুরে জওহরলাল নেহেরু হাসপাতাল থেকে একটি অনন্য ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে একটি অনন্য শিশুর জন্ম হয়েছে। এই বাচ্চাটি সাধারণ বাচ্চাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই শিশুটি সম্পূর্ণ সাদা। শুধু তাই নয় এই শিশুর চুল এবং ভ্রু সব সাদা রঙের। যে কেউ এই শিশুটিকে দেখে ভয় পেয়ে যাচ্ছে।





হাসপাতালে উপস্থিত ডাক্তার ও নার্স কর্মীরা এই শিশুটিকে দেখে বেশ অবাক। প্রকৃতপক্ষে যে বিষয়ে আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি, ভাগলপুরে এক দম্পতি গভীর রাতে হাসপাতালে এসেছিল। সেখানে মহিলাটিকে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তাররা বলে,”তার শরীরে হিমোগ্লোবিন কম আছে তাই তার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল এবং গভীর রাতে এই অনন্য শিশুটির জন্ম হয়েছিল।”





নবজাতক শিশুটির জন্মের পর পিতা-মাতার আনন্দের সীমা নেই। একই সাথে হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা এই শিশুটিকে দেখে খুবই খুশি এবং এর সাথে বেশ অবাক হয়েছে। কিছু মানুষ শিশুটির সাথে সেলফি তুলতে খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং এই শিশুর রং সম্পূর্ন সাদা হওয়ায় শিশুটিকে মনে হচ্ছে এই শিশুটি ইউরোপের কোন দেশের বাচ্চা। চিকিৎসকরা বলছেন,”জহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে এই ধরনের শিশুর জন্মের ঘটনা এই প্রথম।”





ডাক্তাররা বলেছেন যে,”এই ধরনের শিশু শুধুমাত্র হাজার এবং লক্ষে একটাই দেখা যায়।” ডাক্তাররা বলেছিলেন যে,”শরীরে এক প্রকার রঞ্জক কণার অনুপস্থিতির কারণে এমন হয়।” ডাক্তার বলেছিলেন যে,”অ্যালবিনোর কারণে এটি ঘটে। একে অ্যাক্রোমিয়া বলে। আমাদের শরীরে মেলানিন নামক একটি যৌগ আছে যা দেহের কালো রঙের জন্য দায়ী। যদি সেটি শরীরে উপস্থিত না হয় তাহলে এরকম সাদা শিশুর জন্ম হয়।”





তারা বলেছেন যে,”এটি এক ধরনের ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত হয়। যেহেতু আমাদের এখানে প্রখর রোদ তাই এই ধরনের শিশুরা প্রখর রোদ সহ্য করতে সক্ষম হয় না। যদি সে অনেকক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকে তবে সমস্যা অনুভব করতে শুরু করে। বিশেষ করে বলেছেন এই ধরনের শিশুদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়”এবং একইসাথে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,”অন্যান্য বাচ্চাদের মাঝে তাদের জনসমক্ষে হাসির বস্তু হতে হয়।”




