গম চাষে পাকিস্তানের নাম-ডাক রয়েছে। সেই দেশেরই কি না এমন অবস্থা! পাকিস্তানে এখন এক কেজি আটার দাম আকাশছোঁয়া। নিজের দেশে কালোবাজারির জন্য এখন পাকিস্তান সরকার বিদেশ থেকে আটা আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, তাদের দেশে এখন এক কেজি আটার দাম ৫৪ টাকা। তবে এটা করাচির বিভিন্ন বাজারের দাম। পাঞ্জাবসহ অন্য প্রদেশে এক কেজি আটা নাকি ৬০-৬৫ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
করোনা মহামারির আগে থেকেই পাকিস্তানে আর্থিক মন্দা চলছে। দেশের বহু মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। বেকারত্ব বেড়েছে রেকর্ড হারে। তার পর করোনার প্রকোপে পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল আরও খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় আটার দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। পাকিস্তানে এখন রুটি সাধারণ মানুষের কাছে মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে সরকার কেবিনেট বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানের সরকার আপাতত অন্য দেশ থেকে গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের সরকার জানাচ্ছে, এপ্রিল মাস থেকে এখনো পর্যন্ত দেশে আটার দাম বেড়েছে ১৯ টাকা। যা কি না অস্বাভাবিক। পাকিস্তানের কোনও কোনও জায়গায় আটার দাম বেড়েছে আরও বেশি। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, গমর ফলন কম হয়নি। তাও দাম এমন আকাশছোঁয়া কেন! এর পিছনে দায়ি কালোবাজারি। সরকার কালোবাজারিদের রুখতে আইন প্রণয়ন করেছে। তাতেও লাভ হচ্ছে না। আপাতত পাকিস্তান রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত এক লক্ষ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে পাকিস্তান।
তাছাড়া সমস্ত কিছুর দাম অনেক বেশি ফলের দাম যেমন আপেলের দাম 400 টাকা কেজি, দুধ প্রায় 300 টাকা লিটার, আস্তে আস্তে না খেতে পেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান