




হিন্দু ধর্মে বলা হয় একজন মানুষ অনেক জন্মের পর মানুষের জন্ম লাভ করে। যদি আমরা মানুষের জন্ম পেয়ে থাকি তাহলে আমরা খুব ভাগ্যবান। আমাদের ভালো কাজ করার সমাজসেবা করার মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ আছে। এই প্রকৃতি এবং প্রকৃতি দ্বারা সৃষ্ট সবকিছু জানার এবং বোঝার সুযোগ আছে। পুরাণ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক মানুষের জন্ম ও মৃ_ত্যু পূর্বনির্ধারিত। আমরা এইসব কথা বলছি কারণ অনেকেই এই জীবনের মূল্য বুঝতে পারে না।





কিছু মানুষ ছোট ছোট সমস্যায় পড়ে এই জীবন শেষ করতে চায়। যার কারণে দেশে আ_ত্ম_হ_ত্যা_র ঘটনা বেড়েই চলেছে। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একটি অটোরিক্সা ট্রেনের কোচের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে অটো পার হওয়ার সময় এক তরুণী সেখানে চলে আসে। অটোর সামনে যাওয়ার পর মেয়েটি দাঁড়িয়ে যায় এবং সে আ_ত্ম_হ_ত্যা_র চেষ্টা করে।





তারপর অটোচালক তার কাছে ছুটে আসে এবং তাকে চলে যেতে বলে কিন্তু মেয়েটি নড়ে না। এদিকে ট্রেনটি তার কাছে দ্রুত আসতে থাকে এবং সেক্ষেত্রে চালক তাকে টেনে সেখান থেকে নিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড দেরি হলে মেয়েটি দ্রুতগামী ট্রেনের ধা_ক্কা_য় পড়ে যেত এবং এই ঘটনাটি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে এবং যে অটোচালক মেয়েটিকে বাঁচিয়েছে সবাই তার প্রশংসা করছেন।





অটোচালক যদি সাহস না দেখাত তাহলে হয়তো আজকে মেয়েটি মা_রা যেত। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে,যে চালকটি মেয়েটির জীবন বাঁচিয়েছে তার নাম মহসিন এবং এখন এ.সি.এল শিবরাজ চৌহানও তার প্রশংসা করছেন। অটোচালক মহসিন জানান যে,”তিনি সোমবার সকালে কয়েকজনের সঙ্গে পলিটেকনিক কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন এবং ট্রেন আসার আগে তিনি সোনা ঘাটের লোকেশন বন্ধ থাকায় সেখানে থেমে যান এবং একই সময়ে তরুণী তার মুখের সামনে দাঁড়ায় এবং মোবাইলে কারোর সাথে কথা বলে।





তারপর সাথে সাথে তাদের অতিক্রম করে দাঁড়িয়ে যায়।” তিনি বলেন,”আমি মেয়েটিকে বাঁচাতে দৌড়ে গেছি কিন্তু আমি তাকে জড়িয়ে ধরে টানতে লাগলাম যাতে ওর ট্রেনের সাথে ধা_ক্কা না লাগে।” তারপর মেয়েটি তার পরিবারের কথা বলেন। তথ্য অনুযায়ী তিনি তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন যদিও সে এম.বি.এ পাস তবুও তিনি অনেক রোগ দ্বারা আ_ক্রা_ন্ত ছিলেন যার কারণে তিনি গভীর হ_তা_শা_য় ভুগছেন। তার পরিবারও তাকে বিভিন্নভাবে মানসিক কষ্ট দিত তার অসুস্থতার কারণে সেই কারণে আ_ত্ম_হ_ত্যা_র পথ বেছে নিয়েছিলেন।




