ইন্টারনেটের দৌলতে আজকাল বহু অজানা তথ্য জানা যায়। শুধু তাই নয়, এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে আমরা অবগত হই যা আগে কখনো সামনে আসেনি। কৃষকের ছেলের উচ্চশিক্ষায় উত্তীর্ণ থেকে শুরু করে কম বয়সে পড়ুয়ার বিশেষ বিশেষ আবিষ্কারের ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনা গু’লি মানুষের হৃদয়কে আবেগে আপ্লুত করে। অদ্ভু’ত প্রাণী, গাছপালা, মহাজাগ’তিক বিষয় সহ বিভিন্ন তথ্য আমরা এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা কিনা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
মানুষের মুখের মত দেখতে প্রাণী আবিষ্কৃত হয়েছে। চেহারা কিছুটা মাছের মতো হলেও সম্পূর্ণ মাছ বলা যায় কিনা সে সম্পর্কে স’ন্দেহ থেকেই যায়। প্রাণীটিকে দেখে সকলেই হ’তবাক। মালয়েশিয়ার কোন একজন ব্যক্তি এই মাছের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। মানুষের মুখের মত দেখতে এই মাছ কে দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অবস্থা পাগল হওয়ার জোগাড়।
নেটিজেনরা এই মাছের চেহারা দেখে হ’তবাক হয়ে গিয়েছে। কিছু লোক এই মাছের ছবি দেখে হ’তবাক হতে বসেছে।কেউ কেউ আবার এই অদ্ভুত মাছটিকে নিয়ে মিম বানাতে শুরু করেছে। কমেন্ট বক্সে যে যার মত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। যদিও মাছটিকে দেখে অনেকেই মাছের অন্য কোন প্রজাতির কথা মনে হতে পারে। মানুষের মতো তার দাঁত ও ঠোঁট। মুখের গড়ন অনেকটাই মানুষের মতো। তবে এটি মাছ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।মালয়েশিয়ায় দেখা যাওয়া এই মাছকে ঘিরে এখন তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
এই বিশেষ ধরনের দেখতে মাছটির নাম ট্রিগার ফিশ নামে পরিচিত। মাছের এই প্রজাতিটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এবং এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জলাশয়গু’লিতে সহজেই পাওয়া যায়। এর বেশিরভাগের মাথার সাথে ডিম্বাকৃতির আকারের দেহ রয়েছে। এদের শক্ত চোয়াল ও দাঁত থাকে। ট্রিগার ফিসের আরো ৪০ টি প্রজাতি পাওয়া যায়।আগেও মানুষের মতো দেখতে মাছ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেবার জলের একটু নিচে দেখা গিয়েছিল।
এই মাছটির দুটি পৃষ্ঠদেশীয় পাখনা রয়েছে। এই দুটোর মধ্যে যেকোন একটি তখনই ব্যবহার করা যায় যখন অন্যটি ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়। এটিকে বলা হয় ট্রি’গার মেরুদন্ড। ঠোঁটের উপরের থেকে নিচের দিকে একটি লাল রেখা রয়েছে। তাই মাছের এই প্রজাতিটিকে বলা হয় ট্রি’গার ফিস।