




মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী দের কথা আমরা অনেক আগেও অনেকবার শুনেছি। অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে সমস্ত বাধা অতিক্রম করা যায়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনভাবেই কিছু মানুষের ইচ্ছা শক্তিকে দমন করতে পারে না। এমনই একটি কাহিনী শ্বেতা আগারওয়াল এর। মধ্যবিত্ত যৌথ মাড়োয়ারি পরিবারে জন্ম হয়েছে তার। ২০১৫ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতে সমস্ত দেশের মধ্যে ১৯ তম পজিশনে নিজের জায়গা করে প্রত্যেককে জমা দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে রামপুরহাটের এসডিও আইএএস অফিসার নিজের জীবনসংগ্রামের কথা জানালেন।





শ্বেতা আগারওয়াল বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি শুনে আসছেন তার দাদু ঠাকুমার পুত্রসন্তান খুব পছন্দ ছিল।এই কারণে তারা তার বাবা-মাকে বারবার বলেছিলেন যে তোমাদের যখন একটি মেয়ে, তখন একটি পুত্র সন্তান দত্তক নাও। কারণ পুত্র সন্তানের লালসা তে যদি আবার মেয়ে হয়ে যায় এই ভয় তারা পাচ্ছিলেন।চিরাচরিত মত অনুযায়ী তাদের ধারণা ছিল, পুত্র সন্তান না হলে অসময়ে শ্বেতার বাবা-মাকে কে দেখবে? কিন্তু কখনো ওনারা কল্পনাও করতে পারেননি যে এই ছোট মেয়ে একদিন সবাইকে গর্বিত করতে পারবে, এবং ভবিষ্যতে তাদের কান্ডারী হয়ে উঠবে। যৌথ পরিবারে সে তাছাড়াও ছিল আরো ১৫ জন ভাই বোন। তাদের সকলের থেকে ছোট ছিল শ্বেতা।





সমস্ত বোনেদের একের পর এক বিয়ে হয়ে গেলেও তিনি বলতেন, বাবা আমি এখনো আরো পড়তে চাই। সেই অদম্য ইচ্ছার জোরেই তিনি আজ এতটা সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান। খুব সহজেই সফলতা তার ঝুলিতে আসেনি।পারিবারিক এবং সামাজিক চাপের মধ্যেও তিনি তার নিজের জেদ ধরে রেখে অবশেষে এই সাফল্যে র দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছেন।
যৌথ পরিবারে বড় হওয়া সে থাকে তার বাবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়িয়ে ছিলেন। তার পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা হিন্দি বা বাংলা মিডিয়ামে পড়েছে। কিন্তু সে তার বাবা তাকে অন্যভাবে মানুষ করতে চেয়েছিলেন’।





সেটা আগরওয়াল এর বক্তব্য অনুযায়ী,তার বাবা ভাববেন প্রতিদিন ১০ টাকা রোজগার করা হয় সেখান থেকে যদি প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ টাকা করে রেখে দেওয়া যায় তাহলে মেয়ের স্কুলের ফি ঠিক যোগাড় হয়ে যাবে মাসের শেষে। এভাবেই পরিবারের সাপোর্টে সেটা তার পরিবারের প্রথম স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এবাতিন সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করার পর এমবি ও করেন। এরপর তারা আইপিএস আবার স্বপ্ন ছিল। তাই চাকরি পেয়ে গেলেও তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দেন। বিগত ১০ বছরের সেরা রেজাল্ট করে এসেছে শ্বেতা আগরওয়াল।




