




করোনা সারাবিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলেছে। করোনার কারণে অনেক লোক কত কাজ হারিয়েছে আবার অনেক লোক তাদের পরিবার হারিয়েছে। করোনার কারণে মুম্বাইয়ের সবাইকে একটি অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছিল। আসমা শেখের বাবার মুম্বাইয়ের জুসের দোকান ছিল কিন্তু করোনার প্রভাব এর কারণে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং তার পরিবার রাস্তায় নেমে যায়।





এমন অবস্থায় 17 বছর বয়সী আসমার বাবা ফুটপাতের পাশে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে তার পরিবারের সাথে বসবাস শুরু করেন এবং আসমা পড়াশোনা খুব পছন্দ করতেন তাই তিনি রাতে ল্যাম্পোস্টের নিচে বসে পড়াশোনা করতেন। কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছু বন্ধ ছিল কিন্তু এই সময় আসমা তার পড়াশোনা ছাড়েনি। ফুটপাতে অধ্যয়নরত অবস্থায় আসমার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।





আসমার উৎসাহ দেখে বিপুল সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসেন এবং তাকে সাহায্য করার জন্যে একটি প্রচারণা শুরু করা হয় এবং তার মধ্যে অনেক বিদেশী নাগরিক ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে আসমা বলেন,” আমি পড়াশোনা করতে চাই যাতে আমি একটি বাড়ি কিনতে পারি এবং আমি আমার পরিবারকে ফুটপাতের জীবন থেকে বের করতে চাই।” আসমা আরো বলেন,”ফুটপাতে থাকার সময় অনলাইন ক্লাস করা খুব কঠিন ছিল তাই আমি বাড়িতেই পড়তাম।





লকডাউনে আমাকে ল্যাম্পোস্টের নিচে পড়াশোনা করতে হয়েছিল। কখনো কখনো পুলিশ এমনকি অনেকে ফুটপাতে নির্মিত আমাদের কুঁড়েঘর সরিয়ে দেয় তাই আমাদের সারারাত হাটতেও হয়েছিল।” আসমার এই কথাগুলো শুনে মানুষেরা শুধু আসমার সাহসের প্রশংসা করেননি বরং তার পরিবারের জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করেছে। যদি প্রতিবেদন বিশ্বাস করা হয় আসমার পরিবারকে মুম্বাইয়ে একটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। 16 জুন মুম্বাইয়ের মর্যাদাপূর্ণ কেসি কলেজে আসমা ভর্তি হন।





আমরা আপনাকে বলি স্পেনের জার্মান ফার্নান্দেজ আসমাকে সাহায্য করার জন্য প্রচারণা শুরু করেছিলেন। আসমা বলেন তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্য অভিযান শুরু করেছিলেন যার অধীনে 1.2 লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং জার্মান ফার্নান্ডেজ বলেছেন যে শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে তার স্বপ্নকে সত্যি করতে সাহায্য করে এবং আমি মহিলার শিক্ষিকাদের বড় সমর্থক।





এছাড়া মুম্বাইয়ের একটি এন.জি.ও আসমার শিক্ষার জন্য প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘আই কেয়ার টেকার’ নামে একটি এন.জি.ও-র মতে কাতারে কর্মরত পেট্রোলিয়াম নির্বাহি নাসির আহমেদ খান আমার কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তিনি বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত আসমার পড়াশোনা শেষ না হয় প্রতিমাসে তাকে টাকা দেবে এবং অন্যদিকে আসলে তিনি খুব খুশি কারণ তার পরিবার একটি ছাদ পাবে এবং এখন সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।




