রীতিমতো হাতে পায়ে ধরে ছিল অরিজিত সিং কিন্তু তাতে কোন কান দেননি সালমান । অনুরোধ করেছিলেন তার গানগুলোকে সিনেমা থেকে বাদ না দেওয়ার জন্য কিন্তু তাতে কোনো কর্ণপাত করেননি সলমান । তিনি বলিউডের একচ্ছত্র বাদশা যাকে চাইবেন তার ক্যারিয়ার নষ্ট করবেন, তার মুখের উপর কোন কথা বলার ক্ষমতা নেই কারো, যেই করবে তার ক্যারিয়ার শেষ। খুব দুর্ভাগ্যবশত এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল বাঙালির খুবই প্রিয়, ঘরের ছেলে অরিজিত সিং কে । অরিজিত বলতেই লোকে তার গানের প্রেমে কাবু, কিন্তু তারও ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চেয়েছিলেন সালমান ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় 2014 সালে যেখানে একটি শো’তে হোস্টিং করছিলেন সলমান এবং অনেকক্ষণ ধরে মানুষকে হাসাতে গিয়ে খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন নিজের জঘন্য পারফরম্যান্স দিয়ে। অনেকেই উঠে চলে যান সেখান থেকে কারণ এত বাজে ভাবে হোস্টিং করেছিলেন সলমান । সেই সময় একটি অ্যাওয়ার্ড নিতে মঞ্চে যান অরিজিত সিং, যেখানে তিনি বলেন যে ” ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন একদম ” , জঘন্য হোস্টিং করলে মানুষ তো এটাই বলবে স্বাভাবিক, কিন্তু তা সত্ত্বেও অরিজিতের সর্বকালের সেরা গান “তুম হি হো” গানটির বদনাম করে বলেন এরকম গান বাজতে থাকলে ঘুমিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক । ব্যাপারটি এখানে মিটে গেলেই যথেষ্ট ছিল । কিন্তু তিনি হচ্ছেন বলিউডের ভাইজান, তার সামনে এত বড় কথা বলার দুঃসাহস কি আর দেখাতে পারে কেউ। লেগে পড়লেন অরিজিতের ক্যারিয়ার নষ্ট করার পিছনে
কিক”, “প্রেম রতন ধন পায়ো” এই ছবিগুলো থেকে বাদ দিয়ে দিলেন অরিজিৎ কে এমনকি যে গান অরিজিৎ ইতিমধ্যেই গেয়ে ফেলেছে সেগুলো কেউ অন্যদের দিয়ে গাওয়ানো হয় । এরপর সুলতান সিনেমাতে সালমান আবার একই কাজ করে তখন অরিজিত টুইট করে রীতিমতো হাতে পায়ে ধরে বলেন যে ” অন্তত যে গানগুলো গেয়েছি সেগুলো থেকে আমাকে বাদ দেবেন না। অন্তত আমার একটা গান ছবিতে থাকতে দিন”। কিন্তু তার সত্বেও বাদ দেওয়া হয় তার সমস্ত গান।
এখানেই থেমে থাকেনি সলমান, “Welcome to new work” নামের সিনেমা থেকে জোর করে ডিরেক্টরকে ধমকি দিয়ে বাদ দেওয়া হয় অরিজিতের গান, সালমান জানিয়েছিলেন “পৃথিবীর যে কাউকে দিয়ে গানটা করিয়ে নাও কিন্তু অরিজিৎ সিং বাদে ।”