




এই পৃথিবী আশ্চর্যজনক সত্যে পূর্ণ। কখন কোথাথেকে কি খবর আসবে আমরা কেউই তা জানিনা। সারা বিশ্বের মানুষের সাথে সব ধরণের ঘটনা ঘটে এবং অনেক সময় এমন খবর আসে যার ওপর আমরা বিশ্বাস করতে পারিনা কারন আমরা জীবনে প্রথমবারের মতো এমন খবর শুনি। এমনই কিছু ঘটনা ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন থেকে এসেছে। চীনে এক নারী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং আপনি এখন হয়তো বলবেন যে এতে নতুন কি এটাতো স্বাভাবিক এটি প্রতিদিন আশেপাশের শহরেই ঘটে।





এই গল্পের মূল হলো চীনের জন্ম নেওয়া যমজের দুটি ভিন্ন বাবা আছে। ডাক্তাররা এতে অবাক এটা কিভাবে হতে পারে। এই শিশুদের ডি.এন.এ রিপোর্ট করলে প্রতারিত স্ত্রীকে উন্মোচন করা হয়েছে এবং চীনের এই ঘটনা সারাবিশ্বের সবাইকে অবাক করেছে। এখানে একজন স্বামী তার যমজ সন্তানের জন্মের পর তার বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানতে পারে। একটি ডি.এন.এ পরীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছিল নবজাতকদের জন্ম যাদের বাবারা আলাদা। যখন তাদের দুজনের রিপোর্ট বের হল তখন ডাক্তাররা হতবাক।





মহিলার যমজ সন্তান দুটির ভিন্ন পিতা জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে এই দুই শিশুর ডি.এন.এ আলাদা ছিল এবং মহিলাটির স্বামী যখন এ বিষয়ে জানতে পারেন তিনি স্তব্ধ হয়ে যায়। লোকটি বলেছিলেন যে,”তিনি কখনোই জানতেন না যে তার স্ত্রী অন্য কারো সাথে সম্পর্কে রয়েছে।” এক কোটিতে শুধুমাত্র একটি কেস এমন ঘটে এর পরীক্ষা করে ডাক্তার কিম উং জাং বলেছিলেন যে,”এই ধরনের ঘটনা এক কোটিতে মাত্র একবার ঘটে”।





তথ্য দিয়ে তিনি বলেছিলেন যে,”যখন একজন মহিলা মাসে দুটি ডিম উৎপন্ন করে তার ডিম্বাশয়ে,তখনই এরকম ঘটনা ঘটে এবং যখন এই অল্প সময়ের মধ্যে দুজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন, এমতাবস্থায় দুটি ভিন্ন শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয় সেই ডিম্বাণুগুলি এবং এই অবস্থায় একজন মহিলা যমজ সন্তানের জন্ম দেয় কিন্তু তাদের ভিন্ন পিতা থাকতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘হেটারো প্যাটার্নাল সুপারফেকন্ডেশন’।”





বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মহিলা যদি একদিনের মধ্যে দুজনের সাথে যৌ_ন_মি_ল_ন করেন তাহলে তার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। আসুন আমরা আপনাকে বলে দিই এটি একটি নিয়ম যখনই একটি সৈনিকের বাড়িতে একটি সন্তান জন্ম নেয় তখন সেই শিশুর জন্মের সাথে জন্ম সনাক্তের জন্য ডি.এন.এ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং সেজন্যই এক্ষেত্রে নবজাতকদের ডি.এন.এ পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তাতে এটি প্রকাশ পেয়েছে। স্বামী বলেছেন যে,”তিনি তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক সম্পর্কে অবগত ছিলেন না” এবং এখন বিশ্বজুড়ে মানুষের দৃষ্টিতে এই বিষয়টি।যদিও স্বামী-স্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।




