




সারা বিশ্বের দূষণের মূল উপাদান হলো প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের প্রধান সমস্যা হলো এটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়। ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়াররা সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়েছেন বিশ্বকে।পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তারা। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে,প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে এখনো পর্যন্ত এক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়ে গেছে।





প্লাস্টিকের রাস্তাগুলি তে ৬ থেকে ৮ শতাংশ থাকে প্লাস্টিক বর্জ্য, বাকী ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ থাকে বিটুমিন।এক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তার প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে লেগেছে প্লাস্টিকের বর্জ্য। ১ টন করে প্লাস্টিকের বর্জ্যের জায়গায় যে বিটুমিন বেঁচেছে তার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি ২০১৬ সালে প্রথমবার রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিকের ব্যবহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রথম ১১টি রাজ্যে রাস্তা তৈরিতে প্লাস্টিক ব্যবহার ব্যবহার করা হয়েছে।





গুরুগ্রাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ২০১৮ সালে প্রথমবারের জন্য রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিকের ব্যবহার করেছিল। ছোট রাস্তা নির্মাণ ও তারা এখন প্লাস্টিকের বর্জ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। অসমে চলতি বছর থেকে রাস্তায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করা শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি জম্মু এবং কাশ্মীর এর ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরীর কাজে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। দিল্লি এবং মিরাট হাইওয়েতে প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। চলতি বছরেই প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরির পরিমাণকে দ্বিগুণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।





ভারতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ হাজার ৯৪০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ৬০% ফের ব্যবহার করা হয়, বাকি ৪০% স্থলভাগের নানা স্থানে, জলভাগে জমা হয়, যা ভবিষ্যতে বায়ুদূ’ষণ বা জলদূষণের সৃষ্টি করে। ভারতে এখনো যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি,এই অবস্থায় প্লাস্টিকের রাস্তা, প্লাস্টিকের দ্বারা বি’পদ কমাতে অত্যন্ত উপযোগী পথ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।




