লালকেল্লা দিল্লির ঐতিহাসিক ইমারত। ২০০৭ সালে ওয়ার্ড হেরিটেজের তালিকায় যুক্ত হয়েছিল লালকেল্লার নাম। কিন্তু কিছু বছর আগে শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের পৌত্রবধূ লালকেল্লাকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করেন। বর্তমানে এই দাবি দিল্লি কোর্ট থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সুলতানা বেগমের মতে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লালকেল্লার ওপর কবজা করে নেয়।
এই কেস দিল্লি হাই কোর্ট মেরিটের ওপর বিচার করে নয় বরং দেরিতে দাখিল করার ভিত্তিতে খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টের মতে সুলতানার পূর্বপুরুষেরা লালকেল্লার ওপর অধিকার দেখায়নি, এমনকি কোনো দলিল দস্তাবেজও তাদের নেই। এত দেরিতে এই নিয়ে কেস করার কারণ স্বরূপ কোনো যথাযথ উত্তর সুলতানা বেগম দিতে পারেননি। আপনাদের জানিয়ে রাখি সুলতানা বেগম শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জফর-II এর নাতি মির্জা মহম্মদ বেদর বখ্ত এর স্ত্রী।
তার স্বামীর ২২ শে মে ১৯৮০ সালে মৃ’ত্যু হয়। হাইকোর্টের জজ রেখা পল্লি সুলতানা বেগমকে ১৫০ বছর পর কেস করার কারণ জিজ্ঞেস করেন। সুলতানা বেগম জানান ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৫৭ সালে লালকেল্লা কবজা করে, যা তার দাদা-শ্বশুর ২৫০ একর জমির ওপর তৈরি করেছিলেন। লালকেল্লা কবজা করার পর সম্রাট বাহাদুর শাহ জফরকে গ্রেফতার করে রেঙ্গুনে পাঠানো হয়।
সেখানে নির্বাসনে থাকার সময় ১৮৭২ সালে তার মৃ’ত্যু হয়ে যায়। তার মৃত্যুর পর ভারতীয়রা জানতেন না সম্রাট জফরের কবর কোথায় আছে। ১৩০ বছর পর অনেক চেষ্টার পর জানা যায় সেই স্থানের খবর। দেশ যখন ইংরেজদের পরাধীনতা থেকে মুক্তি পায় তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন। লালকেল্লায় বহু বছর সৈনিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। পরে এটিকে হিস্টোরিক্যাল হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা হয়।