সন্তান চাই, কিন্তু স্বামী চাই না এমনটাই দাবি তুললেন শিল্পা শেট্টি, কেন জানেন?

বলিউডে এমন অনেক তারকা আছেন যারা সেরা দম্পতি তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এই দম্পতিরা তাদের ফটো এবং ভিডিও দিয়ে তাদের ফ্যানেদের খুশি করতে থাকে। বলিউডের নিখুঁত দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রার জুটি। এই দুজনের জুটিকে একদম নিখুঁত বলে মনে করা হতো। শুধু তাই নয় দুজনের জুটি দর্শকদের খুব পছন্দ হতো এবং তাদের নাম সেই দম্পতিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় যাদের মধ্যে কোন ঝগড়া অশান্তি নেই।

কিন্তু এমন একটা সময় ছিল যখন শিল্পা এবং রাজের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সেই সময় শিল্পা রাজের থেকে নিজের কাজকে বেশি গুরুত্ব দিতেন যার কারণে রাজ তার ওপর খুব রেগে যেত। শিল্পা বিশ্বাস করেন যে তিনি সারাজীবন তার স্বামী রাজ এর উপর নির্ভর থাকতে পারেন না যার কারণে তিনি তার কাজে বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেন। জীবনে এমন একটা সময় এসেছিল যখন সে অনুভব করেছিল যে সে সেসব কিছু অর্জন করেছে কিন্তু 32 বছর বয়সে সে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না।

শিল্পা আরোও জানান তিনি একটি সন্তান নিতে চেয়েছিলেন এবং সেই কারণেই সে বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি বিয়ের ব্যাপারে ভীত ছিলেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি বিয়ের পর ক্যারিয়ার হারাবেন। কিন্তু তারপরেও এই সব বিষয় উপেক্ষা করে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাদের বিবাহের বিষয়ে কথা বললে শিল্পা আরো বলেন যে সেই সময় যখন তারা বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন তখন তার ক্যারিয়ার আরোও ভালো চলছিল।

রাজ তার কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে হয় তাকে বিয়ের কথা ভাবতে হবে নাহলে তাদের সম্পর্ককে চিরতরে ভুলে যেতে হবে। তারপরেই শিল্পা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। শিল্পা বিশ্বাস করেন যে আজকের আধুনিক যুগে যেখানে মেয়েরা নিজের পছন্দের পোশাক পরতে পছন্দ করে এবং নিজেদের ইচ্ছামত ঘোরাফেরা করা পছন্দ করে, একইভাবে তার জীবন পরিচালনা করতে পছন্দ করবেন। শিল্পার জীবন তার নিজের শর্তাবলীতে চালান এবং তার নিজের পছন্দমত থাকতে ভালোবাসেন এবং

তিনি আরোও জানান যে প্রতিটা মানুষেরই বিয়ের পর জীবন বদলে যায় কারণ তাকে নিজের সাথে সাথে তাদের শ্বশুরবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ও নিজের সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব নিতে হয় যার জন্য সম্ভবত সমস্ত মেয়েরা প্রস্তুত থাকে না। যদিও শিল্পা বিশ্বাস করেন যে সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অতি আবশ্যক নয়। যদি আপনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিয়ের আগে আপনার সঙ্গীর সাথে কথা বলে এই বিষয়গুলো সমাধান করে নিতে পারেন। একইভাবে যদি শিল্পার বিবাহিত জীবনের কথা বলি তবে রাজের প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল কবিতা কিন্তু কিছু কারণে রাজ তাকে ডিভোর্স দিয়ে শিল্পাকে বিয়ে করেন।

Related Posts

নীল কমল কোম্পানি শুরু হয়েছিল বোতাম বানানো দিয়ে, আজ 123 কোটির টার্নওভার। ভারতের জনপ্রিয় চেয়ার কোম্পানির এত সাফল্যের আসল কাহিনী বেরিয়ে এলো ।

বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফার্নিচার মার্কেট লঞ্চ হয়েছে। এইসব ফার্নিচারের দাম যেমন বেশি হয় তেমনই এইসব ফার্নিচারের দেখাশোনাও বেশি করতে হয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন নীলকমল…

“পুষ্পা” ফিল্মের রক্ত চন্দন এর দাম জানেন কত? বিলুপ্ত এই চন্দন কীভাবে এল ফিল্মের সেটে? জানলে আপনিও চমকে যাবেন

সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে আল্লু আর্জুনের ফিল্ম “পুষ্পা”। এই ফিল্ম রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়ে তৈরি। আজ আমরা আপনাদের এই রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়েই কথা বলব। রক্ত চন্দন অন্ধ্রপ্রদেশের…

নিজের ধর্ম বদলাবো না, অন্যের ধর্ম বদলাতে দেবো না! এই শর্তে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করলেন এই অবিনাশ! মেয়ে এলো ৮০০০ কিলো মিটার দুর থেকে

“প্রেম” শব্দটা ছোটো হলেও এর গভীরতা অনেক। প্রেমের সম্পর্ককে কোনোদিন ধর্ম, জাতি আটকাতে পারেনি। আপনারা অনেক সিনেমা দেখে থাকতে পারেন এই ধরনের। আজ আমরা বাস্তবের এক ঘটনা…

23 বছরের এই ভাই-বোনের জুটি 1 লাখ টাকা ইনভেস্ট করে যে অভিনব উপায়ে আজ 800 কোটি টাকার ব্যবসা দার করান, জানলে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন

একটি মেয়ে তার ভাইয়ের সাথে মিলে নিজেদের পরিবারকে সফলতার সেই শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন যা বড় বড় ব্যবসায়ীরাও পারেননি। 23 বছর বয়সে সাধারণত সকলে পড়াশোনা শেষ করে…

অমিতাভ বচ্চনের সাথে সম্পর্ক ভালো নয় তার ভাইয়ের, রোজ গারের দিক থেকেও তার ছোট ভাই অনেক এগিয়ে ! বিস্তারিত জানলে আপনিও অবাক হবেন

প্রয়াত কিংবদন্তি কবি হরিবংশ রাই বচ্চনকে কেনা চেনেন? ছোটবেলা থেকেই তাঁর কবিতা স্কুলে পড়ানো হয়। আজও মানুষ তার কবিতাকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। কবি হরিবংশ রাই বচ্চন…

১৯০ কোটি টাকা লটারীতে জিতলেন এই মহিলা! কিন্তু তিনি না জেনে টিকিট সহ জামা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে ফেলে, তারপর যা হলো

লটারি খেলাটিও একটি চমৎকার খেলা। ভাগ্য সহায় থাকলে যে কেউ মাটি থেকে আকাশে, আবার আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যেতে পারে। একজন মহিলার সাথে একই ঘটনা ঘটেছিল, তবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *