




70 ও 80 র দশকের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিলেন পারভীন বাবি। তার সৌন্দর্যের প্রশংসক ছিলেন বহু মানুষ। তার চোখে ছিল মায়া। সেই মায়ায় আটকে গেলে ছাড়া পাওয়া ছিল ভীষণ মুশকিল। তাকে দেখতে স্বর্গের কোনো অপ্সরার থেকে কম ছিল না। পারভীন বাবি প্রায় দুই দশক ধরে হিন্দি সিনেমা জগতে নিজের নাম বজায় রেখেছিলেন। তৎকালীন সময়ে তার অভিনয় দেখার জন্য সিনেমা হলে ভীড় উপচে পড়ত। কিন্তু তার মৃত্যুর সময় কেউ তার পাশে ছিল না।





জানা যায় সেই সময়ে একমাত্র কবীর বেদি, ড্যানি এবং মহেশ ভাট উপস্থিত ছিলেন। 1973 সালে ক্রিকেটার সালিম দুর্রাণীর বিপরীতে “চেত্র” সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি বলিউডে ডেবিউ করেন। তার ডেবিউ ফিল্ম ফ্লপ হলেও দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বহু ফিল্মের অফার আসতে থাকতে তার। পারভীন বাবি তার ক্যারিয়ারে অনেক বড়ো বড়ো অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছেন।





অমিতাভ বচ্চনের সাথে তিনি “অমর আকবর অ্যান্থানী”, “সুহাগ”, “মজবুর”, “দীবার”, “দেশী প্রেম”, “নামাক হালাল”, “কালিয়া” প্রভৃতি ফিল্মে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ধর্মেন্দ্র, শশী কাপুর, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না’র মতো দিগ্গজ অভিনেতাদের সাথেও কাজ করেছেন। পারভীন বাবির প্রফেশনাল লাইফ ঈর্ষণীয় হলেও, তার পারশোনাল লাইফ কষ্টকর ছিল।





বহু অভিনেতার সাথে তার নাম জড়ালেও ভালোবাসা তিনি কখনই পাননি। সম্পর্কে বহুবার বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে তার। এইসব কারণে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যান। এমনকি কারোর সাথে দেখাও করতেন না তিনি। তার মৃত্যুর কথা 4 দিন পরে সবাই জানতে পারে। অভিনেতা কবীর বেদি তার অটোবায়োগ্রাফি তে পারভীন বাবি-র কথা বলেছেন। পারভীন সাথে কাটানো বহু সময়ের কথা বলেছেন তিনি।





তিনি জানান পারভীন বাবি-র অন্তিম যাত্রায় বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে ছোটো বড়ো কোনো তারকা যাননি। তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি থেকে মাত্র তিন-চার জন গিয়েছিলেন, যারা পারভীন বাবিকে ভীষণ ভালোবাসতেন। তিনি আরও বললেন কোটি কোটি মানুষের মনের মল্লিকা মৃত্যুর সময় পাশে কাউকে পাননি। এমনকি চারদিন পর যখন তার দেহ বাইরে আনা হয় তখন তার এক পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছিল। পারভীন বাবি সারাজীবন একটু ভালোবাসার জন্য হাপিত্যেশ করেছেন।




