সিনেমা জগতে এসে প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতো রেখা, বলিউডকে জঙ্গল বলেছিল তিনি, এর পেছনে কারন জানলে অবাক হবেন

নিজের অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে বহু মানুষের মন জিতেছেন রেখা। রেখা এমন এক অভিনেত্রী যাকে প্রতিটি বয়সের মানুষই পছন্দ করেন। এহেন রেখার বলিউডে আসা আর সেখানে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কিছু গল্প আপনাদের আজ বলবো। বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করা কখনোই সহজ ছিল না রেখার পক্ষে। অনেকে জানলে হয়তো অবাক হবেন রেখা কোন দিন অভিনয় জগতে আসতেই চাননি। তার মায়ের জন্য অভিনয় জগতে তাকে আসতে হয়।

“দো শিকারি” ফিল্ম দিয়ে বলিউডে তার ডেবিউ হয়। এরপর থেকে তিনি বলিউডকে অনেক ভালো ফিল্ম দিয়েছেন। একটি চ্যাট শো-তে অন্নু কাপুর রেখার সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, একটি ফিল্মের শুটিং এর জন্য তাকে মুম্বাইতে আসতে হয়েছিল। কিন্তু মুম্বাইতে রেখার সাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার হতো না। রেখা সেইসময় হিন্দি বুঝতে ও বলতে পারতেন না। এই কারণে বহু মানুষের কাছে তাকে অনেক নোংরা কথা শুনতে হয়েছে।

রেখা যখন মুম্বাইতে আসেন তার তখন খুব একটা বেশি বয়স ছিল না। আর তার চেহারাও সেইসময় কিছুটা স্বাস্থ্যবান ছিল। এই কারনে তার মায়ের কঠোর নির্দেশ ছিল রেখা কে যেন মেপে খেতে দেওয়া হয়। এমনকি চকলেট ও আইসক্রিমের মত খাবারের থেকেও রেখাকে দূরে রাখার নির্দেশ ছিল। নিজের ছোটবেলাটা এই কারণে ভালোভাবে এনজয় করতে পারেননি তিনি। রেখার জীবনে তখন অনেক ধরনের বিধিনিষেধ ছিল যা রেখাকে যে করেই হোক মানতে হত।

রেখা নিজেও একটি ইন্টারভিউ তে জানিয়েছিলেন যে তিনি কখনোই বলিউডে আসতে চাননি। তার মা লোভ দেখিয়ে ছিলেন আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়ার এই কারণেই তিনি অভিনয় করতে রাজি হন। বলে রাখি অভিনেত্রী রেখার পশুপাখিদের প্রতি ভীষন আগ্রহ। এই আগ্রহকেই কাজে লাগিয়ে তার মা রেখাকে বলিউডে কাজ করান। রেখা জানান তার মা তাকে বলেছিলেন বলিউডে কাজ করলে তিনি আফ্রিকায় যেতে পারবেন এবং সেখানকার বিভিন্ন ধরনের পশুদের সামনাসামনি দেখতে পারবেন।

মায়ের এই কথা বিশ্বাস করে রেখা বলিউডে প্রবেশ করেন। রেখা বরাবরই দেখতে সুন্দর। কিন্তু রেখাকে বলিউডে খুব একটা ভালো ব্যবহার করা হতো না। ইচ্ছে করে রেখাকে এমন পোষাক ও গয়না দেওয়া হতো যার কারণে তার গায়ে রেস ও এলার্জি হয়ে যেত। বাজে ব্যবহার এবং বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখে রেখা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সেইসময়।

তিনি জানান এমন একদিনও যায়নি যখন তিনি না কেঁদে ঘুমাতে গেছেন। সেই সময় রেখা বলিউডে থাকতে না চাইলেও তার মায়ের জন্য থাকতে হয়েছিল, কাজ করতে হয়েছিল। কিন্তু আজ রেখা বলিউডের রঙে রঙিন হয়ে গেছেন। এভারগ্রীন সুন্দরী রেখা আজ বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। বয়সের সাথে সাথে তার সৌন্দর্য কমার বদলে বরং দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলেছে।

Related Posts

নীল কমল কোম্পানি শুরু হয়েছিল বোতাম বানানো দিয়ে, আজ 123 কোটির টার্নওভার। ভারতের জনপ্রিয় চেয়ার কোম্পানির এত সাফল্যের আসল কাহিনী বেরিয়ে এলো ।

বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফার্নিচার মার্কেট লঞ্চ হয়েছে। এইসব ফার্নিচারের দাম যেমন বেশি হয় তেমনই এইসব ফার্নিচারের দেখাশোনাও বেশি করতে হয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন নীলকমল…

“পুষ্পা” ফিল্মের রক্ত চন্দন এর দাম জানেন কত? বিলুপ্ত এই চন্দন কীভাবে এল ফিল্মের সেটে? জানলে আপনিও চমকে যাবেন

সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে আল্লু আর্জুনের ফিল্ম “পুষ্পা”। এই ফিল্ম রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়ে তৈরি। আজ আমরা আপনাদের এই রক্ত চন্দনের কাঠ নিয়েই কথা বলব। রক্ত চন্দন অন্ধ্রপ্রদেশের…

নিজের ধর্ম বদলাবো না, অন্যের ধর্ম বদলাতে দেবো না! এই শর্তে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করলেন এই অবিনাশ! মেয়ে এলো ৮০০০ কিলো মিটার দুর থেকে

“প্রেম” শব্দটা ছোটো হলেও এর গভীরতা অনেক। প্রেমের সম্পর্ককে কোনোদিন ধর্ম, জাতি আটকাতে পারেনি। আপনারা অনেক সিনেমা দেখে থাকতে পারেন এই ধরনের। আজ আমরা বাস্তবের এক ঘটনা…

23 বছরের এই ভাই-বোনের জুটি 1 লাখ টাকা ইনভেস্ট করে যে অভিনব উপায়ে আজ 800 কোটি টাকার ব্যবসা দার করান, জানলে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন

একটি মেয়ে তার ভাইয়ের সাথে মিলে নিজেদের পরিবারকে সফলতার সেই শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন যা বড় বড় ব্যবসায়ীরাও পারেননি। 23 বছর বয়সে সাধারণত সকলে পড়াশোনা শেষ করে…

অমিতাভ বচ্চনের সাথে সম্পর্ক ভালো নয় তার ভাইয়ের, রোজ গারের দিক থেকেও তার ছোট ভাই অনেক এগিয়ে ! বিস্তারিত জানলে আপনিও অবাক হবেন

প্রয়াত কিংবদন্তি কবি হরিবংশ রাই বচ্চনকে কেনা চেনেন? ছোটবেলা থেকেই তাঁর কবিতা স্কুলে পড়ানো হয়। আজও মানুষ তার কবিতাকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। কবি হরিবংশ রাই বচ্চন…

১৯০ কোটি টাকা লটারীতে জিতলেন এই মহিলা! কিন্তু তিনি না জেনে টিকিট সহ জামা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে ফেলে, তারপর যা হলো

লটারি খেলাটিও একটি চমৎকার খেলা। ভাগ্য সহায় থাকলে যে কেউ মাটি থেকে আকাশে, আবার আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যেতে পারে। একজন মহিলার সাথে একই ঘটনা ঘটেছিল, তবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *