




সফলতা একদিনে আসে না কিন্তু পরিশ্রম করলে এক না একদিন ঠিক সফলতা আসে। আজ আমরা আপনাদের এমন এক আইএএস অফিসারের কথা বলব যিনি এক সময় হোটেলে ওয়েটারের কাজ করেছেন। তামিলনাড়ুর উত্তরীয় অম্বর এর বাসিন্দা জয়গনেশ তার বাবা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তাদের পরিবার বড় হওয়ার কারণে তার বাবা যা উপার্জন করতেন সবই পরিবারের ভরণপোষণে লেগে যেত। তবুও তার বাবা সন্তানদের বুনিয়াদি শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন খামতি রাখেননি। ছোট থেকেই জয়গনেশ পড়াশোনায় ভালো ছিলেন।





হাইস্কুল এবং ইন্টারমিডিয়েট এর পরীক্ষায় ভালো মার্কস নিয়েই পাস করতেন তিনি। দশম শ্রেণী পাস করার পর তিনি পলিটেকনিক পরীক্ষা দেন এবং সেই পরীক্ষায় 91% নিয়ে পাস করেন। তান্থী পরীয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি একটি কোম্পানিতে আড়াই হাজার টাকা বেতনে চাকরি পান। এত কম বেতনে তার পরিবারের ভরণপোষণ সম্ভব হচ্ছিল না ভাই বোনদের মধ্যে সবথেকে বড় হওয়ায় তার দায়িত্বও ছিল অনেক।





পরিবারের দায়িত্ব আর নিজের স্বপ্নের মধ্যে থেকে তিনি উভয় কেই বেছে নেন এবং পরিবারের দায়িত্ব সামলিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। নিজের স্বপ্ন আর পরিবারের দায়িত্ব দুই সামলিয়ে চলা সত্যিই কঠিন। এক সময় তার চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করেন। হোটেলে কাজ করার পর সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে এসে তিনি ইউপিএসসির পড়া করতেন। এত পরিশ্রমের পরেও তিনি ছয়বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় অসফল হন।





কিন্তু তিনি হার মানেন না। এরমধ্যে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স বিউরোতে তার চাকরি হয়ে যায়। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স বিউরোতে কাজ করার পাশাপাশি তিনি ইউপিএসসির প্রস্তুতি নেওয়া জারি রাখেন। এরপর তিনি সপ্তম প্রয়াসে ইউপিএসসি পরীক্ষা পাশ করেন এবং অল ইন্ডিয়া 147 তম রাঙ্ক পান। প্রথমে তার অবশ্য বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু তিনি যখন দেখেন তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না। জয়গনেশ সেই সমস্ত পরীক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যারা পরিবারের দায়িত্বের কারণে নিজের স্বপ্নকে ভুলে যেতে বাধ্য হয়।।




