




২৪ বছর আগে আ’স্তাকুঁড় থেকে তুলে ঘরে এনেছিলেন, মিঠুনের সেই মেয়ে এবার বলিউডে!বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। ডাস্টবিন থেকে এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। পরি’ত্যক্ত সেই শিশুটিকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। জন্মের পরেই যে শিশুটিকে তার নিজের বাবা-মা পরিত্যাগ করেছিল, সেই ছোট্ট মেয়েটি ঠাঁই পায় মিঠুনের কোলে। তার নাম দেওয়া হয় দিশানী।





কোনওদিন নিজের অন্য তিন ছেলের থেকে দিশানীকে আলাদা করে দেখেননি মিঠুন বা তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্য। সেদিনের ছোট্ট মেয়েটি বড় হয়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে তাঁর গ্ল্যামারাস লুক ইতিমধ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে বলিউডেও পা রাখতে চলেছে দিশানী চক্রবর্তী, মিঠুনের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে।





সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে দিশানীকে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন। সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করে এই খবর। জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে একটি ডাস্টবিনে একটি কন্যাসন্তানকে পাওয়া গিয়েছিল। শিশুটির অবিরাম কান্নার শব্দ শুনে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায় আশেপাশে। এক সমাজসেবী সংস্থা সেখান থেকে শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিজেদের সংস্থায়। সেখান থেকেই খবর পেয়ে ওই সংস্থায় যান মিঠুন। শিশুটিকে দেখে তাঁর এতই মায়া হয় যে তিনি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন শিশুটিকে দত্তক নেবেন। তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন মিঠুন। তারপর কাগজপত্র তৈরি করে স্ত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে শিশুকন্যাটিকে দত্তক নেন মিঠুন।





নিজেকে পিতার পরিচয় দিয়ে মিঠুন দত্তক কন্যার নাম রাখেন দিশানী। দিশানী ছাড়াও মিঠুনের রয়েছে আরও তিন ছেলে মেয়ে, মিমো, উস্মে ও নানশি। তাঁদের সঙ্গেই বড় হতে থাকে দিশানী। কখনওই তাঁকে আলাদা করে দেখা হয়নি। এখন নিউইয়র্কের একটি ফিল্ম অ্যাকাডেমি থেকে পড়াশোনা করছেন দিশানী। তার মধ্যেই জানা গিয়েছে অভিনয়ে হাতেখড়ি হতে চলেছে তাঁর।





জীবনে বহুবার বহু সমাজকল্যাণ মূলক কাজে এগিয়ে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর সেইসব কাজ একবারের জন্যও প্রচারের আলোয় আসেনি। বরং একবার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। এখনও সেই কলঙ্ক বহন করছেন মিঠুন।





মিঠুনের পরিবারে আসার পর থেকেই সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছিল ছোট্ট দিশানী।তাঁর বাবার সঙ্গেও দিশানীর দারুণ সম্পর্ক। তিন দাদা মহাক্ষয়, উষ্মে এবং নমশীর তাঁকে সব সময় আগলে বড় করেছেন। মায়েরও স্নেহ পেয়েছেন সব সময়।শোনা যাচ্ছে, সদ্য যৌবনে পা দেওয়া দিশানী এ বার সিনেমাকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান করতে চান। রক্তে যখন অভিনয় তখন বলিউডে তিন আগামী দিনে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।





তিনি যেহেতু অভিনয়কেই পেশা করতে চান, তাই তার প্রস্তুতি নিতে এই মুহূর্তে দিশানী নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করছেন।আগে লাইমলাইট থেকে শত যোজন দূরে থেকেছেন। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে যে জনসংযোগ রাখতে হবে। তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন মিঠুন-কন্যা। তাই ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ হয়েছেন তিনি।তাঁর ফ্যাশন সেন্স নিয়েও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ফ্যাশন সমালোচকরা।ছোট থেকে বি টাউনের তাবড় তারকা, পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে বেশ পরিচিতি দিশানীর। তাই মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি কোনও প্রজেক্টে তাঁকে দেখা যেতে পারে।