অযোধ্যায় তৈরি হতে চলেছে নতুন রাম মন্দির।রাম মন্দিরের ভূমি পূজাতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যার রাশিচক্রের ভূমি পুজোর প্রস্তুতি চলছে। ভূমি পূজোর জন্য ৫ আগস্ট দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভূমি পুজোর শুভ সময় হিসেবে বেলা ১২.১৫ কে স্থির করা হয়েছে। ১১ জন পন্ডিতকে নতুন রাম মন্দিরের মন্দিরে উপাসনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,বলে সংবাদ সূত্রের খবর।
১১ আগস্টের সকালে ১১ জন পণ্ডিতের দল ভুমি পূজো শুরু করবে। ভূমি পূজা করার সময় প্রায় ৪০ কেজি রৌপ্য ইট দিয়ে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত নিত্যগোপাল দাস বলেছেন, মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী কে দিয়েই করানো হবে। মহন্ত কমল নয়ন দাস বলেন যে, শাস্ত্রীয় বিধান মেনে পূজা অর্চনার পড়ে ১২.১৫ মিনিট নাগাদ রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। ভিত্তি প্রস্তর আনুষ্ঠানিক ভাবে স্থাপনের পরে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি অন্য নেতারাও রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। জানা গিয়েছে যে, এই অনুষ্ঠানের জন্য বহু প্রবীণ নেতাদের আমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।যারা রাম মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে কখনও কথা বলেননি,এমন বিরোধী নেতাদেরও ডাকা হবে এই ভিত পুজোর অনুষ্ঠানে। এইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সংঘ পরিচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ সহ প্রায় ২০০ জন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি অযোধ্যাতে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর শুভ সময়ে উপস্থিত থাকবেন। অধ্যাশিলা পুজোর অধীনে প্রধানমন্ত্রী মোদী তুষের কলস এবং গঙ্গার জল সর্বস্বাধি এবং পঞ্চ রত্ন মন্দিরে স্থাপন করবেন। পুজোর সময় শেষনাগকেও ভূগর্ভে রাখা হবে।
রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা দিনক্ষণ ঠিক করা সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ঠিক এক বছর আগে, ঠিক এই দিনেই, সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। সেই কারণেই আগস্ট মাসের ৫ তারিখ দিনটিকে রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের দিন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। পন্ডিতরা মনে করেন, এই দিনে সিদ্ধির যোগফল হয় এবং এই তারিখে নিজেই জমির পূজা করার মাধ্যমে উদ্দেশ্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫ আগস্ট থেকে রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আশা করা যায় যে এই মন্দিরটি দুই বছরের মধ্যে নির্মিত হবে। ২০২২ সালের জন্য মন্দিরটি নির্মাণ কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরটি অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি হবে।ইতিমধ্যেই মন্দিরের জন্য পাথর কাটার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মন্দিরটি তৈরির জন্য অনেক রাজ্য থেকে কারিগরদের ডাকা হয়েছে এবং যারা দিনরাত কাজ করছেন। এই মন্দিরটি তৈরি করতে ১০০ কোটি টাকা ব্যায় হতে পারে বলে ধারণা।