




মারুতি 800 ছিল সাধারণ মানুষের বাজেটের প্রথম গাড়ি এবং মারুতি 800 প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছে যারা একটি ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক হতে চেয়েছিলেন। যখনই আমরা মারুতি 800 সম্পর্কে কথা বলি সেখানে অবশ্যই হরপাল সিং এর উল্লেখ থাকে এবং ইনিই হলেন সেই একই ব্যক্তি যিনি প্রথম ভারতে মারুতি 800 গাড়িটি কিনেছিলেন। মারুতি 800 গাড়ি বাজারে আসার পর মাত্র দুই মাসের মধ্যে 1.35 লক্ষ গাড়ি বুক করা হয়।





এই কারণে গাড়ি প্রেমিকের এই গাড়ি পেতে খুব দীর্ঘ প্রতীক্ষার তালিকায় থাকতে হয়েছিল। এই সবের মধ্যে হরপাল সিং সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি যিনি মারুতি 800 র প্রথম গাড়ির চাবি পেয়েছিলেন। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে মারুতি সুজুকি,মারুটি 800 গাড়ি ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স এর কর্মচারীদের দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী যিনি তাকে মারুতি 800 এর চাবি দিয়েছিলেন।





প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর গাড়ির চাবি দেওয়ার ছবিটি ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। দেশের প্রথম ভারতীয় গাড়ির নাম্বার প্লেট যেটি ছিলো তাও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিলো। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার হল dia 6479। আপনি জেনে অবাক হবেন যে হরপাল সিং এর মারুতি 800 গাড়ি কিনতে তার ফিয়াট গাড়ি বিক্রি করেছিলেন এবং 1983 সালে প্রথম তিনি এই গাড়িটি কেনার পর সারা জীবন তিনেক একটি গাড়িই চালিয়ে গেছেন এবং তিনি 2010 সালে মা_রা যান।





তিনি বিশ্বাস করতেন ঈশ্বরের কৃপায় তিনি গাড়ি পেয়েছেন এজন্য তিনি কখনো তার গাড়ি বিক্রি করেননি। তার চলে যাওয়ার পর তার গাড়ি বাড়ির কাছেই আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছিল। চার দশক আগেও 1980 থেকে মারুতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। হরপাল সিং এর মৃ_ত্যুর পর তার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে জং ধরে গেছে। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাড়ির ছবি ইন্টারনেটে হঠাৎ ভাইরাল হতে শুরু করে এবং পরে গাড়িটি মারুতি পরিষেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় মারুতি এই গাড়িটি পুনরুদ্ধার করে গাড়িটিকে শুধু বাইরে থেকেই নয়





বরং ভেতর থেকেও মেরামত করা হয়েছে এবং ঠিকঠাক হওয়ার পর অনেকেই জানতে চেয়েছেন তার পরিবারের কাছে যে তারা এই গাড়িটিকে বিক্রি করবেন কিনা। 1983 সালের 9 এপ্রিল গাড়ির বুকিং শুরু হয় এবং 28 জুন পর্যন্ত মাত্র দুই মাসে প্রায় 1.5 লাখ গাড়ি বুক করা হয়েছিল তখন মারুতি 800 র দাম ছিল মাত্র 52 হাজার টাকা। মারুতি সুজুকি non-executive চেয়ারম্যান আর্চিভ অর্গ বলেন,”ব্যক্তিগত পরিবহন সেসময় বিলাসিতা এবং ধনীদের জিনিস বলেই বিবেচিত হতো কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীর স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়ে ছিলেন।”




