উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় একটি ম’র্মা’ন্তিক ঘটনা ঘটেছে। এখানে একটি ছেলে দু’জন মেয়েকে একসাথে বিয়ে করেছিল এবং উভয় মেয়েকে নিয়ে হানিমুন উদযাপন করেছে। তবে হানিমুনের পরে এই ছেলে পালিয়ে যায়। যার পরে এই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং পু’লিশ এই ছেলেটির সন্ধান করছে।
অভিযুক্ত ছেলে মন্দিরে এক সাথে দু’জন মহিলাকে বিয়ে করেছিল। পু’লিশ জানায়, সোমবার ওই যুবকটি তার নতুন বান্ধবীর সাথে মন্দিরে বিয়ে করছিলেন। তবে তার পুরোনো বান্ধবীটি এই বিষয়টি জানতে পেরে তিনিও মন্দিরে এসেছিলেন। মন্দিরে এসে পুরোনো বান্ধবী প্রচুর হৈচৈ সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর সেই বান্ধবীর চিৎকার বন্ধ করতে এই যুবক তাকেও বিয়ে করেছিলেন এবং তার সিঁথিতে সিঁদুর ভরেছিলেন। এই সমস্ত ঘটনার সময় মন্দিরে অনেক লোক উপস্থিত ছিল এবং এই যুবকের বিয়ের ছবিও তোলা হয়েছিল।
বিয়ের পর এই যুবক দু’জন মেয়েকে নিয়ে হানিমুনও উদযাপন করেছিলেন। তবে পরে যুবকটি তার নতুন বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুরোনো বান্ধবীটি যুবকের জন্য অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু স্বামীর কোনও খবর না পেয়ে তিনি পু’লিশের কাছে সহায়তা চেয়ে শুক্রবার কর্নেলগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পু’লিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই মেয়েটি এই মামলা দায়ের করেছে। আসলে এই মেয়েটি এই যুবকটিকে দীর্ঘকাল ধরে চেনে এবং দুজনেই একে অপরকে ভালবাসত। কিছুদিন পর এই মেয়েটি যুবককে তার সাথে বিবাহের জন্য জোর করা শুরু করে এবং বিয়ে না করলে বিষ খাওয়ার হু’মকিও দেয়।যার কারণে এই দুজনের মধ্যে মারামারি হয় এবং ছেলেটি তাতে হাত বাড়ায়। এ সময় মেয়েটি যুবকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল এবং থাপ্পড় মারার অভিযোগে পু’লিশ তাকে গ্রে’প্তা’র করেছে। তবে পরে তাকে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল।
কিছু দিন আগে, এই ছেলেটিকে মন্দিরে বিয়ে করতে দেখে এই মেয়েটি সেখানে পৌঁছেছিল এবং সে যুবককে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পরে এই যুবক পালিয়ে যায় এবং চার দিন ধরে এ সম্পর্কে কোনও তথ্য না পেয়ে মেয়েটি আবার তার বি’রুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মেয়েটি দায়ের করা মামলায় মেয়েটি ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে সে প্রথমে তাকে বিয়ে করে এবং পরে ধ’র্ষণ করে পালিয়ে যায়। মামলাটি নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকেই পু’লিশ অভিযুক্ত যুবকের সন্ধান করছে।