




যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিতাকে মর্যাদা দিয়েছে কিন্তু এলজিবিটি কিউ আজ পর্যন্ত সমাজে সমতার মর্যাদা পায়নি। আজ এই সম্প্রদায় সারা দেশে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এই জাতির লোকেদের সমাজের নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা সমাজে সমতার মর্যাদা পেতে কঠোর পরিশ্রম করছে। আজ আমরা এমন একটা সম্মানের কথা বলব যিনি একজন সাব-ইন্সপেক্টর হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন সে যদি সুযোগ পায় তাহলে এই লোকেরা সমাজের সমানভাবে অবদান রাখতে পারে।





এই ট্রান্স উইমেন সাব-ইন্সপেক্টর এর নাম এস শিবন্যা। কঠোর পরিশ্রম এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর তিনি প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তারপর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপপরিদর্শকের পদ পান। তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলার বাসিন্দা শিবন্যা একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সে ছোটবেলা থেকেই পুলিশ বিভাগে অফিসার হতে চেয়েছিলেন। সে একজন ট্রান্স ওম্যান। তিনি ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় কোন প্রকার খামতি রাখেননি।





হাই স্কুল এবং ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি তাঁর স্নাতক পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং স্নাতক শেষ করে তিনি টিরুভান্যমলাই এর জেলা আদালতে কিছু সময় প্যারালিগাল বলেন হিসেবে কাজ করেছিলেন। এরপর তিনি জেলা আদালতের কাজ ছেড়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন এবং কোচিং এর পাশাপাশি তিনি সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি শিবন্যা তিরুভান্নামালাই জেলার প্রথম ট্রান্সজেন্ডার পুলিশ।





সে ভবিষ্যতে ডিএসপি হতে চায় এবং তিনি তার সাফল্যের কৃতিত্ব তার বাবা-মা এবং ভাইদের দেন। শিবন্যা জানান তাকে প্রায় মানুষের কাছে টানাপোড়েন টিকা-টিপ্পনি শুনতে হয়েছিল। লোকেরা তাকে নিয়ে মজা করত এবং ট্রান্সজেন্ডার এবং পুলিশ সার্ভিসের চাকরির প্রস্তুতি নিতে যাওয়ার সময় মানুষ তাকে দেখে হাসতো। যাইহোক এই সময় তার পরিবার তাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন এবং তাকে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করেছিল যাতে সে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। তিনি আইন-শৃঙ্খলা বিভাগে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।।




